নারায়ণগঞ্জে মৃত্যু ২০০ ছুঁয়েছে!
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২১
করোনায় নারায়ণগঞ্জে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ ছুঁয়েছে। ২০২০ সালের ২৩ মার্চ বন্দরে পুতুল বেগম নামের এক নারীর মৃত্যুর মাধ্যমে শুরু হয় এই মৃত্যুর মিছিল। একদিন বিরতি দিয়ে গতকাল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের একজন পুরুষের মৃত্যুর মাধ্যমে এ জেলায় মৃত্যুর সংখ্যায় ডাবল সেঞ্চুরি হলো। আক্রান্তের সংখ্যাও ১২ হাজার ছাড়িয়েছে একদনি আগেই।
রোববার (১৮ এপ্রিল) জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ এ তথ্য জানায়। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ জন। তবে আক্রান্তের হার কমেছে। ২৪ ঘণ্টায় ৬৪১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
জেলা স্বাস্থ্যবিভাগের দেয়া তথ্য অনুসারে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ হাজার ৭৭ জন। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকা সর্বোচ্চ। এ এলাকায় মারা গেছেন ১০১ জন। এরপরেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ সদর এলাকা। এ উপজেলায় মারা গেছেন সংখ্যা ৩৭। সোনারগাঁয় মারা গেছেন ৩৬ জন।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, গত ১ এপ্রিল আক্রান্ত হয়েছে ১২৯ জন, ২ এপ্রিল আক্রান্ত হয়েছে ১২৯ জন মারা গেছেন একজন, ৩ এপ্রিল ১৩৭ জন আক্রান্ত হন, ৪ এপ্রিল ১১৩ জন, ৫ এপ্রিল ১২০ জন, ৬ এপ্রিল ১৩৯ জন আক্রান্ত হন মারা যান ৩ জন, ৭ এপ্রিল ১৭৩ জন আক্রান্তের বিপরীতে মারা যায় ৩ জন, ৮ এপ্রিল ১১৪ জনের বিপরীতে মারা যায় একজন, ৯ এপ্রিল রেকর্ডসংখ্যক ১৯৯ জন আক্রান্ত হয়, মারা যায় ৩ জন, ১০ এপ্রিল ১১৮ জনের বিপরীতে একজনের মৃত্যু ও ১১ এপ্রিল ৮৭ জনের বিপরীতে একজন, ১২ এপ্রিল ১২১ জন ও ৩ জনের মৃত্যু এবং ১৩ এপ্রিল ১২৯ জন আক্রান্ত হয়, ১৪ এপ্রিল ৮৭ জন আক্রান্ত হয় মারা যায় ৫ জন, ১৫ এপ্রিল ৩ জন মারা যায়, আক্রান্ত হয় ৩৯ জন, ১৬ এপ্রিল ৪ জন মারা যায় আক্রান্ত হয় ৭৩ জন, ১৭ এপ্রিল ৭৬ জন আক্রান্ত হলেও কেউ মারা যায়নি, ১৮ এপ্রিল একজন মারা গেছে বিপরীতে আক্রান্ত হন ৬৭ জন।
২০২০ সালে ৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জের ২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর দুই মাসের ‘লকডাউনে’ জনজীবন একপ্রকার অচল ছিল। এরপর সংক্রম কমার সঙ্গে সঙ্গে বিধিনিষেধও ধীরে ধীরে শিথিল হতে থাকে। সংক্রমন বাড়ার কারণে ফের ৫ এপ্রিল ও পরে ১৪ এপ্রিল থেকে লকডাউনে যায় দেশ।