ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নারায়ণগঞ্জে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু

না.গঞ্জ নগর প্রতিনিধি
🕐 ১:০৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২১

নারায়ণগঞ্জে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জে করোনাকালে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনাকালে জেলায় এ সংখ্যা গতকাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯২ জনে। একই সময়ে এ জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৮৭ জন।

নিহতদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৩ জন রয়েছেন। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মৃতের সংখ্যা ১শ’তে পৌছাল। এছাড়ও নারায়ণগঞ্জ সদরে একজন ও বন্দরে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার দুপুরে করোনা ফোকাল পার্সন ডা. জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা স্বাস্থ্যবিভাগের দেয়া তথ্যে বুধবার এ নিয়ে এ জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ হাজার ৮২২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বিপরীতে ৮৭ জনের দেহে করোনার ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে।

আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকা সর্বোচ্চ। এ এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫৮৭, বিপরীতে মারা গেছেন ১০০ জন। এরপরেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ সদর এলাকা। এখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৫০ ও মৃতের সংখ্যা ৩৩। তবে সোনারগাঁয় মারা গেছেন ৩৩ জন। এ উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০৯০ জন।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, গত ১ এপ্রিল আক্রান্ত হয়েছে ১২৯ জন, ২ এপ্রিল আক্রান্ত হয়েছে ১২৯ জন মারা গেছেন একজন, ৩ এপ্রিল ১৩৭ জন আক্রান্ত হন, ৪ এপ্রিল ১১৩ জন, ৫ এপ্রিল ১২০ জন, ৬ এপ্রিল ১৩৯ জন আক্রান্ত হন মারা যান ৩ জন, ৭ এপ্রিল ১৭৩ জন আক্রান্তের বিপরীতে মারা যায় ৩ জন, ৮ এপ্রিল ১১৪ জনের বিপরীতে মারা যায় একজন, ৯ এপ্রিল রেকর্ডসংখ্যক ১৯৯ জন আক্রান্ত হয়, মারা যায় ৩ জন, ১০ এপ্রিল ১১৮ জনের বিপরীতে একজনের মৃত্যু ও ১১ এপ্রিল ৮৭ জনের বিপরীতে একজন, ১২ এপ্রিল ১২১ জন ও ৩ জনের মৃত্যু এবং ১৩ এপ্রিল ১২৯ জন আক্রান্ত হয়, ১৪ এপ্রিল ৮৭ জন আক্রান্ত হয়।

২০২০ সালে ৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জের ২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর দুই মাসের ‘লকডাউনে’ জনজীবন একপ্রকার অচল ছিল।

এরপর সংক্রমন কমার সঙ্গে সঙ্গে বিধিনিষেধও ধীরে ধীরে শিথিল হতে থাকে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে জেলায় দৈনিক শনাক্তের হার নেমে এসেছিল মাত্র দশের কোঠায়। কিন্তু ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকে আবার সংক্রমণ আবার বাড়ছে দ্রুত গতিতে।

 
Electronic Paper