সড়কের মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
🕐 ৭:৪৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৬, ২০২১
ব্যস্ততম সড়কে প্রতি মিনিটেই যাওয়া আসা করে বিভিন্ন যানবাহন। কিন্তু সড়কটিই যখন মরণফাঁদ তখন চালক, যাত্রী ও পথচারীদের দুর্ঘটনার চিন্তা মাথায় নিয়েই চলতে হয়। লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ গ্যাস পাম্প থেকে দাসেরহাট সড়কটির মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি মরণফাঁদ তৈরি করে রেখেছে। তবে খুঁটি সরানোর আশ্বাস দিয়েছেন লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবু তাহের।
জানা গেছে, ২০ ফুট প্রশস্ত এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত মালবাহী ট্রাক-পিকআপ, যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে থাকে। চন্দ্রগঞ্জ থেকে সড়কটি দিয়ে চরশাহী, দাসেরহাট ও ভবানীগঞ্জের হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু ওই সড়কের মাঝখানে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো এখন মরণফাঁদ হিসেবে পরিণত হয়েছে।
ফোছিয়া রহমান নামে এক বৃদ্ধ জানান, রাতে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় সড়ক পারাপারের সময় খুঁটির সঙ্গে তার ধাক্কা লেগেছে। এতে তিনি মাথায় ব্যথা পেয়েছেন। খুঁটিটি মাঝ রাস্তায় রেখেই সড়ক প্রশস্তকরণ করা হয়েছে। এটি খুব বিপজ্জনক। দ্রুত এটি অপসারণ না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থেকে দাসেরহাট যাওয়ার প্রধান সড়ক। এই সড়কের চরশাহী গ্রাম নামক স্থানে একটি বিদ্যুতের খুঁটি। সড়কের মাঝখানে এমন খুঁটি এখন আতংকের নাম। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা হচ্ছে সেখানে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে এ গ্রামে বিদ্যুৎ আসে। খুঁটি তখন সড়কের পাশে ছিল। গত বছর সড়ক বৃদ্ধি করায় খুঁটি সড়কের মাঝখানে পড়ে। তবে বিদ্যুৎ ও সড়ক বিভাগের উদাসীনতার কারণে বছর পেরিয়ে গেলেও খুঁটিটি সরানো হচ্ছে না। সড়ক প্রশস্তকরণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারও মনগড়াভাবে রাস্তার মাঝখানে খুঁটি রেখে রাস্তার কাজ প্রায় সম্পন্ন করছেন। এ নিয়ে বারবার স্থানীয়রা অভিযোগ করলেও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করছেন না।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবু তাহের বলেন, এ সড়কে বেশ কয়েকটি খুঁটি রাস্তার মাঝে ছিল। সেগুলো সরানো হয়েছে। এখন যে কয়েকটি আছে সেগুলো ঠিকাদারের মাধ্যমে অতিদ্রুত সময়ে সরানো হবে।