ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের চরম ভোগান্তি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৭:৪১ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৬, ২০২১

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের চরম ভোগান্তি

গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শত কোটি টাকা মূল্যের মেশিন বছর যেতে না যেতেই অচল হয়ে পড়েছে। সিটিস্ক্যান, এমআরআই মেশিন, ইকো-কার্ডিওগ্রাফি, এক্স-রে মেশিন নষ্ট থাকায় প্রতিনিয়ত রোগীদের ছুটতে হচ্ছে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এতে রোগীরা যেমন ভোগান্তিতে পড়ছেন, তেমনি আর্থিক ক্ষতিরও শিকার হচ্ছেন। তবে কবে নাগাদ এসব মেশিন চালু হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গোপালগঞ্জ জেলার রোগীদের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল। এখানে প্রতিদিন কয়েকশ’ রোগীকে এক্স-রে ও সিটিস্ক্যান করাতে হয়। কিন্তু এই হাসপাতালের সিটিস্ক্যান মেশিন, এমআরআই, এক্স-রে, ইকো-কার্ডিওগ্রাফি, ইটিটি মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাম, অ্যানেসথেসিয়া মেশিনসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার অন্যান্য মেশিনগুলো নষ্ট থাকার কারণে রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন কাক্সিক্ষত সেবা থেকে। রোগীদের বাধ্য হয়ে ঢাকা-খুলনা গিয়ে সিটিস্ক্যান করাতে হচ্ছে।

রোগীদের এ দুর্ভোগকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন হাসপাতালের এক শ্রেণির অসাধু চিকিৎসক-কর্মচারী। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ, অসাধু চিকিৎসক-কর্মচারীরা বেসরকারি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকে পাঠিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা।

জানা গেছে, সিটিস্ক্যান, এমআরআই, ইকো ও এক্স-রে এ চারটি মেশিনের আনুমানিক মূল্য ১০০ কোটি টাকা। সিটিস্ক্যান মেশিন ছয় মাস ধরে নষ্ট। এমআরআই ও ইকো মেশিন কেনার পর থেকেই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। একদিনও ব্যবহার করা যায়নি। এসব মেশিন সর্বোচ্চ দামি বলে কাগজপত্রে দেওয়া থাকলেও যা কেনা হয় নিম্নমানের। অথচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের রোগ নির্ণয়ে এসব মেশিন খুবই জরুরি।

গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক বলেন, সরকারি নিয়মানুযায়ী যেসব জায়গায় চিঠি দেওয়া প্রয়োজন সেখানে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নষ্ট মেশিন মেরামত করার জন্য শীঘ্রই টেন্ডার হতে পারে।

 

 

 

 

 
Electronic Paper