শুক্রবার (৬ মার্চ) রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান।

এদিকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি ঘটলেও মামলা দায়েরের ১০ দিনেও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে পরিতোষ জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি তার শ্যালক জীবন ধর (২৮) ও ভায়রা শিলীপ কুমার ধর (৫৩) পার্টনারশীপে চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুস সালাম মার্কেটে রত্নশোভা শিল্পালয় নামে জুয়েলারী ব্যবসা করে আসছেন। ২০ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায়িক কাজে তিনি ঢাকায় আসেন এবং ঢাকার তাতী বাজারস্থ রিজভী জুয়েলার্সে ব্যবসার ৬০ ভরি স্বর্ণ বিক্রির ৩৮ লাখ টাকা কালেকশন করেন। টাকাগুলোর মধ্যে ৩০ লাখ টাকা কালো রংয়ের একটি কাঁধ ব্যাগে এবং ৮ লাখ টাকা একটি লাল শপিং ব্যাগে নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকার সায়েদাবাদ জনতার মোড়স্থ খাদিজা ভিআইপি সার্ভিসের এসি বাসে উঠেন। বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে বাসটি নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজের পশ্চিম ঢালে পৌছালে অজ্ঞাত ৪ জন ব্যক্তি দুটি মোটারসাইকেল যোগে বাসটির গতিরোধ করে। নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাসটি থামানোর জন্য সিগন্যাল দেয়। পরে চালক বাসটি থামায়।

তিনি আরও বলেন, এরপর ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী তিনজন লোক বাসে উঠে এবং আমার কাছে এসে বলে ব্যাগটি কোথায়? তখন আমি তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তাদের দু'জনের হাতে ২টি পিস্তল ও আইডি কার্ড বের করে নিজেদের ডিবির লোক পরিচয় দেয়। তাদের একজনের পরনে কালো রংয়ের ফুলহাতা শার্ট, অপরজনের পরনে এ্যাশ কালার টি-শার্ট। আরেকজন চালকের কাছাকাছি ছিল। ডিবি পরিচয়ের ওই ব্যক্তিরা আমার দুটি টাকার ব্যাগ তাদের হাতে নিয়ে বলে ‘তুই হুন্ডি ব্যবসা করিস, তোকে আমাদের সাথে থানায় যেতে হবে।’ তারা আমাকে বাস থেকে নামিয়ে বাসের চালককে বাস নিয়ে চলে যেতে বলে।

তিনি আরও জানান, বাসটি চলে যাওয়ার পর তারা আমার টাকার ব্যাগ দুটি ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে ব্রিজের ঢালে ফেলে দিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল যোগে চিটাগাং রোডের দিকে চলে যায়।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান খোলা কাগজকে জানান, এ ঘটনায় মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে আমরা বিভিন্ন স্থানের সিসি টিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করছি। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে প্রযুক্তি ব্যবহারসহ নানাভাবে চেষ্টা করছি।