জামালপুর পৌর নির্বাচন: ঐক্যবদ্ধ আ.লীগ, হতাশায় বিএনপি
জামালপুর প্রতিনিধি
🕐 ৪:০০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জামালপুর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সব অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শত শত নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় গোটা পৌরবাসীর নজর কেড়ে নিয়েছে ছানু। তবে নানা প্রতিকূলতা আর দ্বিধা বিভক্তির কারণে হতাশার নীরবতা চলছে বিএনপি শিবিরে।
সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়ালেও প্রচার-প্রচারণায় অনেকটাই নীরব রয়েছে ধানের শীষ প্রতীকের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। ফলে নৌকার পালে হাওয়া বইছে জোরেশোরে।
দেড় শতাধিক বছরের পুরনো প্রথম শ্রেণির জামালপুর পৌরসভার ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে কম বয়সে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন ছানু। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন জামালপুর পৌরসভার দুই বারের নির্বাচিত সাবেক মেয়র কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী মামুন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি মোস্তফা কামাল।
এক সময় জামালপুর পৌরসভার বিএনপির শক্তিশালী অবস্থান থাকলেও এবার তা পাল্টে উদীয়মান কর্মী ও জনবান্ধব দানশীল ছানোয়ার হোসেন ছানুর কারণে। প্রথম শ্রেণির এ ক্যাটাগরি এই পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উদীয়মান নেতা ছানোয়ার হোসেন ছানুকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়ায় চেয়ারটি দখলে নিতে সকল দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সব অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে কাজ করছে।
আ.লীগ নেতাকর্মীরা বলেন, ছানোয়ার হোসেন ছানু সফলভাবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করায় তিনি জেলা আ.লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আশীর্বাদপুষ্ট নেতা বনে যান এবং জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর মেধায় কর্মী ও জনবান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিত লাভ করেন।
আ.লীগ প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় জামালপুরে ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আরও অনেক বড় বড় প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। জামালপুর পৌর শহরকে একটি মডেল শহর গড়ার লক্ষ্যে জামালপুরের উন্নয়নের কর্ণধার মির্জা আজম কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আশা করছেন এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জামালপুর পৌরবাসী তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। আর তিনি নির্বাচিত হলে মির্জা আজমের নেতৃত্বে জামালপুর পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে রূপান্তরিত করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
বিএনপি প্রার্থী শাহ মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী মামুন পর পর দুই বার জামালপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মেয়রের দায়িত্ব পালন করলেও গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মির্জা সাখাওয়াতুর আলম মণির কাছে পরাজিত হন। এবারও তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নানা প্রতিকূলতার কারণে প্রচার-প্রচারণায় অনেক পিছিয়ে বিএনপির এই প্রার্থী। নেতাকর্মীরাও ঝিমিয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে বিএনপির নীরবতার কারণেই আ.লীগের দখলে রয়েছে জামালপুর পৌরসভার নির্বাচনী মাঠ।
বিএনপির প্রার্থী শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে আওয়ামী প্রার্থীর নেতাকর্মীদের বাধার কারণে তার নেতাকর্মীরা প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারছেন না। নির্বাচনী প্রচারে নামলেই নানাভাবে নৌকা প্রার্থীর নেতাকর্মীদের বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তার নেতাকর্মীরা প্রচারণায় মাঠে নামলেই তাদের হুমকি ও মারধর করা হচ্ছে। নৌকা প্রার্থীর কর্মীদের এসব কর্মকাণ্ডের একাধিক অভিযোগ রিটার্নিং অফিসারকে লিখিতভাবে অবগত করলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।