ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

‘বিল্ডিং ঘরে থাকমু এডেই বড় পাওয়া’

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
🕐 ৬:৫০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২১

‘বিল্ডিং ঘরে থাকমু এডেই বড় পাওয়া’

‘জীবনে কল্পনাও করি নাই, বিল্ডিং ঘরো থাহার সুযোগ পামু, শেখের বেটি হাসিনা এই আশা পুরা করছে, বিল্ডিং ঘরে থাকমু এডের চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হবো’ এভাবে নিজের কথাগুলো বলছিলেন ভূমি ও গৃহহীন আবদুল আওয়াল।

ষাটোর্ধ্ব আওয়াল ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের লাউচাপড়া ডুমুরতলা এলাকায় রাস্তার ওপর একটি ঝুপড়িতে পরিবার নিয়ে রাত কাটাতেন। উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে ঘর নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনমুন জাহান লিজা।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় প্রতিনিয়ত কাজের মান তদারকি করেন ইউএনও নিজেই। আবদুল আওয়াল পরিবারের এমন দুরবস্থা দেখে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

তিনি জানান, ১৪২টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে যাছাই-বাছাই করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় এসব ভূমিহীনদের জন্য খাস জমিতে ঘর নির্মাণ করা হয়।

তিনি আরও জানান, আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী ঘরগুলো উদ্বোধনের পর উপহার হিসেবে গৃহহীনদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

জানা যায়, আওয়াল ও তার পরিবারের ঠাঁই হয়েছে লাউচাপড়া এলাকায় সরকারি ঘরগুলোতে। শুধু আউয়ালই নয় ১৪২টি পরিবারের চিত্র একই। যারা দিন আনে-দিন খায়, এমনকি ভাঙা ঘর, ঝুপড়ি ও অন্যের বাড়িতে থাকতেন তারাই এখন স্বপ্নের বাড়ি স্বপ্ননীড়ে থাকার জায়গা পেয়েছেন।

এসব ঘর পাওয়া ভূমিহীন পরিবারের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এটা আমাদের জন্য কল্পনার চেয়েও অনেক বড় পাওয়া। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন অর্থাৎ যাদের জমিও নেই ঘরও নেই তাদের পুনর্বাসনের জন্য এসব ঘর নির্মাণ করা হয়।

উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ১৪২টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এই ঘরের সুবিধা পাবেন। দুই শতাংশ খাস জমিতে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষবিশিষ্ট আধাপাকা ঘরের সঙ্গে বারান্দা, রান্নাঘর ও সংযুক্ত টয়লেটসহ নির্মাণকাজ করা হয়েছে।

 

 
Electronic Paper