সিরাজদিখানে ৫০ বছরেও পাকা হয়নি রাস্তা
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ৯:১৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২১
রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার এবং ঢাকা মাওয়া মহাসড়ক ও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে সিরাজদিখানের বালুচর ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ড। চান্দের চর, খাসকান্দি, মদিনা পাড়া, মার্কেট পাড়া, পূর্ব চান্দের চর ও পশ্চিম চান্দের মাদ্রাসা পাড়ার রাস্তার অবস্থা একেবারেই বেহাল দশা।
রাস্তাগুলো সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে জর্জরিত হয়ে পড়েছে। ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টিত আছেই। প্রতিনিয়িত পথচারী ও যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয় এলাকাবাসী। সড়কের ইট উঠে গিয়ে রাস্তার মাঝখানে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। রাস্তায় যানবাহন চলাচল করলে শুধু ধুলাবালি উড়ে এছাড়া বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি আটকে থাকে দীর্ঘদিন। এতে যানবাহন দুর্ঘটনা ঘটে।
বিশেষ করে স্কুল ও কলেজ, মাদ্রাসায় পড়ুয়া হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন যাতায়াত করে ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা দিয়ে হরহামেশা দুর্ঘটনার স্বীকারও হচ্ছে। রিকশা, ভ্যান, সিএনজি ও হোন্ডা চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বিপদে সময় ৩০ টাকার সিএনজি ভাড়া ১০০ টাকা দিলেও কোন যানবাহন যেতে চায়না।
সিরাজদিখান উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, এই এলাকার রাস্তার ব্যাপারে আমি অবগত আছি,স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেব ও প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নিচ্ছেন।ইতোমধ্যে রাস্তার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেডি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আশা করি শীঘ্রই রাস্তার কাজ অনুমোদন হবে।
সংসদ সদস্য মাহি বি চৌধুরী বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকারগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ ইউনিয়ন এই বালুচর। তার মধ্যে এই তিনটি ওয়ার্ড অন্যতম। ইতোমধ্যে আমি অন্যান্য বরাদ্দ দিয়েছি অতিশিঘ্রই কীভাবে রাস্তা পাকাকরণ করা যায় সে ব্যবস্থা করবো। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা হলে অনেকেই আক্ষেপের সুরে বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব এই রাস্তা করার জন্য যথেষ্ট মনযোগী, কিন্ত এই মেঘা প্রকল্প ইউনিয়ন পরিষদের স্বল্প বাজেট দ্বারা সম্ভব নয়। এই রাস্তা করার জন্য আমাদের এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন যেটা আমরা এলাকাবাসীরা পাইনি। ওনি এমপি হওয়ার পর আমরা আর তার চেহারা দেখিনি। এছাড়া উপজেলা এলজিআরডি প্রকৌশলীরাও একদিনের জন্য ভালোভাবে পরিদর্শনে আসেননি।
সিরাজদিখান উপজেলা চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, উপজেলার ১৪টা ইউনিয়নের মধ্যে বালুচর সর্ববৃহত ইউনিয়ন। বালুচর দুইটা ইউনিয়ন হওয়া দরকার ছিল। নদী এপাড় এক ইউনিয়ন আর ওই পাড়ে আরেকটা। আমি চেষ্টাও করে ছিলাম দুই ইউনিয়ন করার জন্য। দুইটা ইউনিয়ন হলে উন্নয়ন কাজ বেশি করা যেত। এই রাস্তা ঘাটগুলার এমন অবস্থা থাকতনা। এ রাস্তাগুলো করবো এতে কোনো সন্দেহ নাই। গত বারে কিছু বরাদ্দ দিচ্ছি এবারো দেয়া হবে। যাতে এলাকার মানুষগুলোর দুর্ভোগ কমাতে পারি।
বালুচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলেন, উপজেলার সবচাইতে বড় বালুচর ইউনিয়ন আর অত্র উপজেলায় সব থেকে অবহেলিত রাস্তা এই চান্দের চর এলাকার রাস্তাটি। বিগত কয়েক বছর যাবত চেষ্টা তদবির করে আসছি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও জানিয়েছি একাধিকবার এছাড়া উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে প্রায়ই কথা হচ্ছে এ ব্যাপারে সর্বপুরি কথা হলো এই রাস্তাটি যাতে দ্রুত করা যায় সে চেষ্টা অব্যাহত আছে।