ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অবৈধ ইটভাটায় হুমকির মুখে পরিবেশ

নেত্রকোণা প্রতিনিধি
🕐 ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২১

অবৈধ ইটভাটায় হুমকির মুখে পরিবেশ

নেত্রকোণায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় এক শ্রেণির ব্যবসায়ী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র বিশেষ করে লোকালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তুলছে ইটভাটা। এসব ভাটায় নেই কোন সরকারি অনুমোদন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। ভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া, গ্যাস ও ধুলায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে। হারিয়ে যাচ্ছে জীব-বৈচিত্র্য, বিনষ্ট হচ্ছে চিরচেনা প্রকৃতি ও পরিবেশ।

নেত্রকোণা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাবিকুন্নাহার জানান, জেলায় ২৪টি ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাফক ৩৬টি ইটভাটার কোন পরিবেশের ছাড়পত্র নেই। জনবল সংকটের কারণে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে আমাদেরকে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তারপরও পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়া যে সব ইটভাটার কার্যক্রম চলছে। তাদের ব্যপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান বলেন, প্রত্যেক ইটভাটাকে লাইসেন্স নবায়ন করাসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে ব্যর্থ হবেন তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলায় আনুমানিক ৬০টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ২৪টি ইটভাটা লাইসেন্স নিয়ে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। জেলার মোহনগঞ্জ-ধর্মপাশা সড়কে কংস নদীর ব্রীজ সংলগ্ন সামাইকোনা গ্রামে মোহনগঞ্জ পৌর এলাকার মৃত রাধাচরন রায়ের ছেলে বিপ্লব রায় নদী ভরাট করে ডিসিএস ইটভাটা স্থাপন করে রমরমা ইটের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ফলে একদিকে নদী নাব্যতা হারিয়ে ফেলছে অন্যদিকে পরিবেশ ও জলবায়ু দূষনের ফলে জনস্বাস্থ্য চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বসত বাড়ির পাশে ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোয়ায় মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছি। গাছের ফল-ফলাদিও কমে গেছে। আবার নদী ভরাট করে যেভাবে দখল করা হচ্ছে তাতে নদী নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে।

সামাইকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান জানান, ১৯৮৭ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বর্তমানে ২৪৮ জন শিক্ষার্থী পাঠদান করছে। ইট ভাটাটি স্কুল সংলগ্ন হওয়ায় ভাটার কালো ধোয়াতে কোমলমতি শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বসবাসকারীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। জনৈক আবু তালেবের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের পর জেলা প্রশাসন থেকে ইট ভাটার মালিককে লিখিতভাবে ভাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও অদৃশ্য শক্তির বলে ইট ভাটার কার্যক্রম চলছে।

 

 
Electronic Paper