ভাঙন দেখতে ভিড়
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
🕐 ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
কয়েক বছর ধরে পদ্মার ভাঙনে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা মানচিত্র থেকে হারাতে বসেছে। চলতি বছরের ৭ জুলাই থেকে নড়িয়া পৌরসভা এলাকার থেকে ভাঙন শুরু কওে কেদারপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু এ ভাঙনের শেষ কোথায় তা বলা যাচ্ছে না।
গত ১৯ আগস্ট শনিবার রাতে মুলফৎগঞ্জ বাজার সংলগ্ন হযরত খাজা মঈন উদ্দিন চিশতী (গাজী কালুর মেহমান খানা) নামে চারতলা বিলাসবহুল বাড়িটি পদ্মার গর্ভে চলে যায়। একই সময় খান বাড়ি জামে মসজিদ ও মোহাম্মদ দিলু খার দোতলা পাকা বাড়িটিও গেছে পদ্মার পেটে। সেই থেকেই প্রবল বেগে ভাঙতে থাকে নড়িয়া এলাকা বিভিন্ন বিলাশবহুল বাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা। ঢাকাসহ শরীয়তপুর জেলা ও এর পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষ দূর দুরান্তে থেকে ভাঙন দেখতে নড়িয়াতে ভিড় জমায়।
গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে অটোবাইক, অটোরিকশা, নসিমন, মোটরসাইকেল করে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধসহ নানা বয়সের নারী-পুরুষ নদী ভাঙন ও পাড়ের মানুষকে দেখতে আসছে। ভাঙন কবলিত এলাকা, মূলৎগঞ্জ বাজার, কেদারপুর, বাঁশতলায় বিশেষ করে শুক্রবার মানুষের ঢল নামে।
নদী ভাঙন দেখতে আসা সাগর মাঝি বলেন, আমি চাকরি করি। ফেসবুকে ও টিভিতে দেখিছি নড়িয়ার নদী ভাঙন। অফিস বন্ধ তাই পরিবার নিয়ে এখানে সরাসরি দেখতে এসেছি। নড়িয়া সাধুর বাজার এলাকার আলম হোসেন জানান, গত ৭ আগস্ট মঙ্গলবার থেকে নদী ভাঙনে মহামারী আকার ধারণ করেছে। সেদিন বিকেলে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নদী ভাঙন দেখতে নড়িয়া সাধুর বাজার লঞ্চঘাটে জড়ো হয়।