ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রূপগঞ্জে সৎ মাকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ!

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ৭:০৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২১

রূপগঞ্জে সৎ মাকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ!

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মানষিক ভারসাম্যহীন সৎ মা বিছানায় প্রস্রাব করায় বিরক্ত হয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে ছেলে। শুধু তাই নয়, হত্যার পর ওই ছেলে রূপগঞ্জ থানায় গিয়ে নিজেই আত্মসমর্পণ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের লাভরাপাড়া এলাকায়।

পুলিশ জানায়, নিহত মা সেলিনা আক্তার (৪০) আড়াইহাজার উপজেলার লষ্করদি এলাকার তাহের আলীর মেয়ে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর গত তিন বছর আগে উপজেলার লাভরাপাড়া এলাকার নুরু মিয়ার সঙ্গে সেলিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানা যায় সেলিনা আক্তার মানসিক প্রতিবন্ধী। নুরু মিয়ার আগের সংসারের ছোট ছেলে আমির হোসেনের স্ত্রী বিথী আক্তারের সঙ্গে সৎ মা সেলিনা আক্তারের প্রায় সময় এসব নিয়ে কথা-কাটাকাটি হতো।

একইভাবে গত সোমবার স্ত্রী বিথী আক্তার তার সৎ শাশুড়ির সঙ্গে চুলায় রান্না করা ও বিছানা প্রস্রাব করার বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি করে তার বাবার বাড়ি চলে যায়।

মঙ্গলবার রাতে বাবা নুরু অনুপস্থিতিতে সৎ মা সেলিনা আক্তারের সঙ্গে ছোট ছেলে আমির হোসেনের বিছানায় প্রস্রাব করাসহ পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সেলিনা আক্তার ধারালো ছুরি নিয়ে ছেলের দিকে তেড়ে যান।

এ সময় আমির হোসেন সৎ মার হাত থেকে ছুরি কেড়ে নিয়ে গলায় ছুড়ি বসায়। তাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মা সেলিনা আক্তার৷ এ খবর পেয়ে রাতেই রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সে সময় ছেলে আমির হোসেন পলাতক ছিল।

এদিকে বুধবার সকালে রূপগঞ্জ থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন আমির হোসেন।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, আমির হোসেন থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে। সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 
Electronic Paper