ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মাধবদীতে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আনোয়ার

খন্দকার শাহিন, নরসিংদী
🕐 ১১:১১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৫, ২০২০

করোনাভাইরাস মহামারির শেষ কবে, বিশ্ব জুড়ে এমন প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা হলেও বাংলাদেশ সরকার প্রধান দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় নিয়েছেন নানা প্রস্তুত। এর মধ্যেই দেশে সময় ঘনিয়ে আসছে স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও পৌর নির্বাচনের। এর মাঝে নরসিংদীর মনোহরদীসহ বেশ কিছু পৌরসভার তফছিল ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন।

পৌর এ নির্বাচনকে ঘিরে দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। আসন্ন পৌর নির্বাচনে মাধবদী পৌরসভায় মেয়র পদে দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন (সাবেক পৌর কমিশনার)। রাজনীতিতে সর্বদা অগ্রভাগে থাকলেও দল থেকে পাননি তেমন কিছুই বলে দাবি স্থানীয় অনেকের। তবুও শতভাগ আশা নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আনোয়ার সমর্থকরা।

আনোয়ার হোসেন বিগত সময় উপজেলা নির্বাচনে নৌকার মনোয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, কিন্তু অজানা কারনে নৌকার টিকেট থেকে বঞ্চিত হন তিনি। তবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও দল থেকে একাধিক প্রার্থীর নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোন বাঁধা না থাকায় কর্মী সমর্থকদের ভালোবাসা নিয়ে স্বতন্ত্র থেকে সদর উপজেলায় চেয়াম্যান পদে নৌকার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন তিনি। ওই নির্বাচনে মাধবদী পৌরসভার অধীনস্থ ১২টি ওয়ার্ডের মাঝে ৯টি ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। ওই পরাজয়ের শোক কাটিয়ে তুলতে এবারও তিনি নৌকা মার্কার টিকেট এর প্রত্যাশী।

এলাকা ঘুরে জানা যায়, রাজনৈতিক মাঠে সর্বদা উজ্জ্বল এ নেতা বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামসহ দলীয় কর্মকাণ্ডে সব সময় সামনে থেকে নেতাকর্মীদের উৎসাহ ও প্রেরণা জুগিয়ে চলেন আনোয়ার হোসেন। রাজনীতিতে সর্বদা অগ্রভাগে থাকলেও দল থেকে পাননি কিছুই। বঞ্চিত হয়েছে সব কিছু থেকে। তিনি ২০১১ সালে মাধবদী পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হলেও নির্বাচনের মাত্র ৭ দিন আগে জেলার উচ্চ পর্যায়ের দলীয় নেতাদের অনুরোধে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যান। দলীয় স্বার্থে নির্বাচন থেকে সরে আসলেও নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সভাপতি নরসিংদী-১ আসনের সংসদ সদস্য সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ তাকে দেওয়া কথা রাখেননি। পরবর্তী নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হলে সে সময়ও তাকে বঞ্চিত করা হয়। বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হতে চাইলে দলীয় নেতাদের অনুরোধে তিনি তা থেকে বিরত থাকেন।

আনোয়ার হোসেন এলাকার সাধারণ মানুষের বিভিন্ন দু:খ-দুর্দশায় সর্বদা তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান এবং এই করোনা মহামারিতেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। অর্থাভাবে কোন শিক্ষার্থীর পরিবার যদি শিক্ষার ব্যয়ভার চালাতে না পারে তবে তিনি স্ব উদ্যোগে ওই শিক্ষাথীর ব্যয় বহন করেন। এমন নজির অগণিত। এলাকার মানুষ দু:সময়ের বন্ধু হিসেবে তাকে জানেন ও মানেন।

শুধু গরিব অসহায়দের প্রতিই নয় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের দু:সময়ে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। সব সময় তৃণ মুলের নেতাকর্মীদের খোঁজখবরসহ তাদের যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। অতীতকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে নিবেন দলীয় নেতাকর্মীরা এ মনোবল নিয়ে সকল সকল ভেদাভেদ ভুলে মাধবদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ থেকে মনোয়ন প্রত্যাশি আনোয়ার হোসেন সাবেক এই সফল পৌর কমিশনার।

বেশ কয়েকজন সমর্থকের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা বলেন, বিগত উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র থেকে আনোয়ার হোসেনের সমর্থকদের প্রচার প্রচারণা তুঙ্গে ছিল। তিনি মাধবদী পৌরসভার ৯টা ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। আর তাই বলা যায় এবার তিনি যদি পৌর নির্বাচনে নৌকা মার্কা মনোনয়ন পান তাহলে মেয়র নির্বাচিত হবেন বলে আশা করা যায়।

আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও বিশ্বের সেরা প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃকে বুকে লালন করে আমিসহ আমার পরিবারের সবাই আওয়ামী রাজনীতিকে আগলে ধরে রেখেছি। আমি শৈশব থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। আমার কর্মী সমর্থকরা আমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে। তাদের ভালোবাসা আমাকে উৎজ্জীবিত করে তুলে। দল ও হাজারও কর্মী সমর্থকদের ভালোবাসা নিয়ে আমি এবার পৌর নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী।

 
Electronic Paper