ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কিশোরগঞ্জে মাথাচাড়া দিচ্ছে জঙ্গি, তৎপর র‌্যাব

সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
🕐 ৩:৫৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৫, ২০২০

কিশোরগঞ্জে মাথাচাড়া দিচ্ছে জঙ্গিরা। গত বুধবার থেকে পর পর তিন দিনে এ জেলায় আটক হয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সাত সদস্য। প্রথম দিনেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পরে চারজন। পালিয়ে যায় আরও কয়েকজন। তারা গোপন বৈঠকে সংগঠনের প্রধানের সঙ্গে মিলিত হয়ে দিক-নির্দেশনা নিয়ে উগ্রতা ছড়িয়ে দিতে কাজ করতেন। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করতেন সদস্য ও চাঁদা। দিন দিন বেড়ে যাওয়া উগ্রপন্থি জঙ্গিদের ঠেকাতে র‌্যাব-১৪ ব্যাটালিয়ন ও র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২ ময়মনসিংহ কাজ করে যাচ্ছে। র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২ লে. কমান্ডার বিএন এম শোভন খান বলেছেন, জঙ্গিবাদ দমন ও জঙ্গি কার্যক্রম প্রতিরোধে তারা বদ্ধ পরিকর।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি র‌্যাব-১৪ ব্যাটালিয়ন ও র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২ ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আল্লাহর দল’ নামে একটি সংগঠনের ৭ সক্রিয় সদস্যকে আটক করে। গত মঙ্গলবার ৪ জনকে, বুধবার একজনকে ও বৃহস্পতিবার দুজনকে আটক হয়।

আটককৃতরা হলো- ময়মনসিংহ জেলার কোতয়ালি থানার বয়ড়া গ্রামের মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে মো. আকরাম হোসেন (২৭), কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কালাইহাটি গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. জুয়েল মিয়া (৪৫), বত্রিশ বগাদিয়া গ্রামের মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. মাকসুদুল হক রনি (২১) ও ইব্রাহিম খলিলের পুত্র মানসুর উদ্দিন প্রহর (১৮), আজিজুর রহমান, আজিজুল ইসলাম ও ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার মৃত দেলোয়ার হোসেন হাদীসের ছেলে হুমায়ুন কবির ইমন (২৩)। আটককৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী লিফলেট, এ সংক্রান্ত কাগজপত্র, সিমসহ একটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। এ সাতজনকে আটককালে তাদের সঙ্গে থাকা আরও ৩/৪ জন সক্রিয় সদস্য পালিয়ে যায়।

আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবকে জানায়, তারা ‘আল্লাহর দল’-এর সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করে এবং কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ এলাকায় সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানায়, প্রধান সংগঠক আব্দুল মতিন মেহেদীর চিন্তা-ভাবনা ও মতাদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সংগঠনের সমর্থক এবং সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠে। মতিন সংগঠনের গোপন বৈঠকে নিয়মিত মিলিত হতেন। সংগঠনের জন্য দাওয়াতের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহসহ সংগঠনকে পরিচালনার জন্য চাঁদা সংগ্রহ ও সংগঠনকে সক্রিয় রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখত এসব সদস্যরা।

র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২ লে. কমান্ডার বিএন এম শোভন খান বলেন, জঙ্গিবাদ দমন ও তাদের কার্যক্রম রুখে দিয়ে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। আটককৃতরা জঙ্গি। তারা নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের গোপন বৈঠকে নিয়মিত মিলিত হতো। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

 

 
Electronic Paper