ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সারা দেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৫:১৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২০

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা পুনরুদ্ধারের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

শনিবার শেরপুরে ব্রক্ষ্মপুত্র ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে পুরাতন ব্রক্ষ্মপুত্র নদের (শেরপুর জেলাধীন) ড্রেজিং কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার শত বছরের পুরনো নদীর গতি পথ ফিরিয়ে আনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জনগণের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন; তারই ফলশ্রুতিতে সারাদেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে।

তিনি বলেন, নদী খননের মাধ্যমে সারা দেশে নৌ-বাণিজ্য সৃষ্টি হবে। কর্মসংস্থান হবে, বেকারত্ব দূর হবে ও কৃষি নির্ভর কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে। সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহন সহজ হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক, সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসাইন খান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আব্দুস সামাদ, শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন প্রমুখ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি দেশকে পেছাতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকর রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১ বিলিয়ন হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে কোন গৃহহীন থাকবেনা। নদী খননের কারণে যদি জনগণের কোন ক্ষতি হয় সরকার ক্ষতি পুরণে তার পাশে থাকবে। ক্ষতির তিনগুণ ক্ষতিপুরণ দেয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী পুরাতন ব্রক্ষ্মপুত্র নদীতে স্থাপিত ড্রেজার কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।

খালিদ মাহমুদচৌধুরী বলেন, পুরাতন ব্রক্ষ্মপুত্র নদের শেরপুর অংশে ১৮ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হবে। শেরপুর সদর উপজেলার ব্রম্মপুত্র ব্রিজ হতে জঙ্গলদী চর হয়ে ভাটিপাড়া চর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটারে ৫৫ দশমিক ৭৮ লাখ ঘনমিটার ক্যাপিটাল ড্রেজিং এবং ৪১ দশমিক ৮৪ লাখ ঘনমিটার মেইনটেনেন্স ড্রেজিং করা হবে। এ জন্য ব্যয় হবে ১৬৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। প্রকল্পের কাজ অক্টোবর ২০২০ এ শুরু হয়ে ২০২৪ এর জুনে শেষ হবে।

এর ফলে সারা বছর পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে চলতে পারবে। কৃষি কাজে সেচ ও মৎস্য চাষে সহায়ক হবে।

 
Electronic Paper