ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

একই পরিবারের ৩ জনকে হত্যা: ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জেলা প্রতিনিধি
🕐 ১০:২১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২০

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় একই পরিবারের তিনজনকে হত্যার পর মাটিচাপা দিয়ে গুমের ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ৩১ অক্টোবর, শনিবার কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল এ খবর নিশ্চিত করেছেন। ওসি এম এ জলিল জানান, নিহত আসাদ মিয়া ও পারভিন আক্তার দম্পতির মেজ ছেলে তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে কটিয়াদী থানায় হত্যা মামলাটি করেছেন। আসামিদের মধ্যে গত ২৯ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাতেই সন্দেহভাজন হিসেবে চারজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

 

গ্রেফতারকৃত চারজন হলেন- নিহত আসাদের ছোট ভাই দীন ইসলাম, মা জুমেলা বেগম, বোন নাজমা ও ভাগনে আল-আমিন। এ ছাড়া বাকি পাঁচ আসামিদেরও তাদের নিকটাত্মীয় বলে জানান ওসি।

ওসি এম এ জলিল আরো জানান, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন আসামি দীন ইসলাম। জমিজমা ও পারিবারিক বিরোধের জেরে এ নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে দীন ইসলাম আরও জানান, তিনি একাই শাবলের আঘাতে তিনজনকে হত্যা করে অন্যদের সহায়তায় মাটি চাপা দেন। পরে ২৯ অক্টোবর, গভীর রাতে পুলিশ দীন ইসলামকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত শাবলটি উদ্ধার করে।

এর আগে ২৯ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কটিয়াদীর বনগ্রাম ইউনিয়নের জমশাইট গ্রামে বাড়ির কাছেই মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় মো. আসাদ মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী পারভিন আক্তার (৪৫) ও তাদের ছেলে লিয়নের (৮) লাশ উদ্ধার করে পুলিশের একটি দল। তারা বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। নিহত আসাদ মিয়া ছিলেন জমশাইট বাজারের একজন ব্যবসায়ী।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, নিহত আসাদ, তার স্ত্রী পারভিন ও ছেলে লিয়ন গত বুধবার রাতে ঘুমিয়ে পরেছিল। পরে বৃহস্পতিবার সকালে মেজ ছেলে তোফাজ্জল নানাবাড়ি থেকে ফিরে নিজেদের বাড়িতে যায়। কিন্তু বাড়িতে মা-বাবা ও ছোট ভাইকে খুঁজে পায়নি সে। পরে আত্মীয়-স্বজনের কাছে জিজ্ঞেস করলেও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

পরে তোফাজ্জল পুলিশের কাছে বিষয়টি জানালে পুলিশ নিখোঁজদের সন্ধানে মাঠে নামে। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির পেছনে একটি নির্জন স্থানের গর্ত থেকে একটি হাত দেখা গেলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মাশরুকুর রহমান খালেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়।

 
Electronic Paper