ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জমি-ঘর পাচ্ছেন বাসন্তী

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
🕐 ৯:২০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০

টাঙ্গাইলের মধুপুরে গারো সম্প্রদায়ের বাসন্তী রেমার কলা বাগান কেটে ফেলার ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বনবিভাগের দোখলা বাংলোতে প্রশাসন, বনবিভাগ ও গারো সম্প্রদায়ের নেতারা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে গারো নেতাদের বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়েছেÑবাসন্তী রেমার দখলে থাকা জমিটি তিনি ভোগদখল করবেন এবং তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি ঘর তুলে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে বাসন্তীকে মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু ১৫ হাজার টাকা ও শোলাকুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন ৫ হাজার টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে নগদ প্রদান করবেন।

বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, বাসন্তী রেমা কমিউনিটি ফরেস্ট ওয়ার্কারের বাইরেও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এছাড়া বিনা নোটিসে বন এলাকায় কারও কলা-আনারসসহ কৃষি ফসল কাটা হবে না। তাদের অন্যান্য দাবিও প্রশাসনের উচ্চমহলে জানানো হবে।

টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেনÑটাঙ্গাইল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক জামিরুল ইসলাম, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম এ করিম, উপজেলা চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, সহকারী বন সংরক্ষক জামাল হোসেন তালুকদার, মধুপুর সার্কেল অফিসার কামরান হোসেন, মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক কামাল, দোখলা রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, শোলাকুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, ফুলবাগচালা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বেনু, অরণখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, সাধারণ সম্পাদক হেরিদ সাংমা, এসিডিএফ সভাপতি অজয় এ মৃ, টিডব্লিউএ চেয়ারম্যান উইলিয়াম দাজেল, বাগাছাস সভাপতি জন জেত্রা, জিএসএফ সাধারণ সম্পাদক লিয়াং রিছিল প্রমুখ।

এ সময় বাংলোর বাইরে মধুপুর বন এলাকার গারো সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকশ ব্যক্তি তাদের দাবিসংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান করছিলেন।

টাঙ্গাইলের মধুপুরে সম্প্রতি জমি উদ্ধারের নামে স্থানীয় গারোদের মাঠের ফসল ট্রাক্টর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযান চালায় বন বিভাগ। অভিযানে উপজেলার আরণখোলা ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে এরই মধ্যে ১০ গারো পরিবারের পাঁচ একর জমির আনারস, পেঁপে, আদা, হলুদ, কলা ধ্বংস করা হয়।

এর মধ্যে শোলাকুড়ি ইউনিয়নের পেগামারীতে দরিদ্র বাসন্তী রেমার জীবিকার একমাত্র অবলম্বন কলাবাগানটিও কেটে উজাড় করে দেয় বন বিভাগ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ গারো সম্প্রদায়ের লোকজন বন বিভাগের রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

 
Electronic Paper