গ্যাসের পাইপ লিকেজেই না’গঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ২:০৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে পাইপ লিকেজের কারণে গ্যাস জমে ছিল। এদিন মসজিদের একটি সুইচ চাপ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনের স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি হয়। ফলে জমে থাকা গ্যাসের কারণে আগুনের উৎপত্তি হয়। সেই আগুনের কারণেই বিস্ফোরিত হয় এসিগুলো। আর ঘটে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমনটিই উঠে এসেছে। বিকেলে প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া কথা রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, প্রতিবেদনে বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে পাইপ লিকেজের কারণে মসজিদের গ্যাস জমাট বেঁধে থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তা থেকে আগুনের মাত্রা বৃদ্ধি ও পরবর্তীতে এসিগুলো বিস্ফোরণ হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মসজিদ ভবনটি তৈরিতে বিল্ডিং কোড মানা হয়নি।
তিতাসের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাইপ লিকেজের বিষয়ে এলাকাবাসী বা মসজিদ কমিটি তিতাস কর্তৃপক্ষের কাছে অবগত বা অভিযোগ করেছে লিখিত কোনো দলিল পাওয়া যায়নি। তবে অনেকে কমিটির কাছে বলেছে তারা মৌখিকভাবে তিতাসকে লিকেজের বিষয়ে অবগত করেছিল।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি বিকেলে কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদনে আগুনের কারণ ও সুপারিশ উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩১ জন মারা গেছেন। বর্তমানে আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ জন।
এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস থেকে ৪ সদস্যের, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে ৫ সদস্যের, ও তিতাস থেকে ৩ সদস্যের তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আজ বিকেলে তিতাসের তদন্ত প্রতিবেদনও বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।