ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মসজিদে বিস্ফোরণ

প্রতিবেদন জমা নিয়ে বাড়ছে সংশয়

মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ
🕐 ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০

তল্লার বাইতুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে শঙ্কা কাটছে না। এ নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। ঘটনার ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি জেলা প্রশাসন। এছাড়াও আরও তিনটি কমিটিও তাদের প্রতিবেদন জমা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না। জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি দু-দুইবার তাদের সময় বাড়িয়েছেন। সবশেষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও আরও ৫ দিনের সময় নিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে তিতাসের তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিলেও প্রতিবেদন সম্পর্কে গণমাধ্যমে মুখ খুলছেন না কেউ।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) খাদিজা তাহেরা ববির মুঠোফোনে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসিমউদ্দিন জানান, দ্বিতীয় দফায় আবারও সাত দিন সময় চেয়ে আবেদন করেছে তদন্ত কমিটি। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে আরও ৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার পরে ৪ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববিকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। তাদের ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা দুই দফায় সময় বাড়ানোর আবেদন করে। সবশেষ আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৪ সেপ্টেম্বর তল্লায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ঘটনার পরে ৪টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জেলা প্রশাসন, তিতাস, ডিপিডিসি এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আলাদা ৪টি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এদের মধ্যে তিতাস একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বললেও প্রতিবেদন সম্পর্কে গণমাধ্যমে কিছুই বলা হচ্ছে না।

অন্যদিকে এ ঘটনার পরে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়। পরে এ মামলাটি তদন্তের ভার অপরাধ তদন্ত সংস্থাকে (সিআইডি) দেওয়া হয়। সিআইডির পরিদর্শক বাবুল হোসেন মামলাটি তদন্ত করছেন। তদন্তের শুরুর দিনে ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা হবে। তিনি জানান, এ পর্যন্ত এ মামলায় সংশ্লিষ্ট ১১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

তবে এ ঘটনার পরে ৭ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে একটি রিট করেছিলেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও তার মেয়ে ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ সেপ্টেম্বর আদালত ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়ার আদেশ দেন। পরবর্তীতে ১৩ সেপ্টেম্বর তিতাসের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে সে আদেশও স্থগিত হয়।

প্রসঙ্গত গত ৪ সেপ্টেম্বর ফতুল্লার তল্লায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৩৭ জন অগ্নিদগ্ধ হন। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩১ জন মৃত্যুবরণ করেন।

 
Electronic Paper