ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এজিএমকে ঘুষ না দেওয়ায় অন্ধকারে দেওয়ানগঞ্জ

ওসমান হারুনী, ইসলামপুর, জামালপুর
🕐 ৯:২৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৯, ২০২০

ইসলামপুর জোনাল অফিসের আওতায় জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়ানগঞ্জ সাব জোনাল অফিসের এজিএম মীর আবু জামানের দাবিকৃত মিটারপ্রতি অতিরিক্ত ৫০০ টাকা না দেওয়ায় নতুন মিটার সংযোগের ফাইল জমা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের ঘাড়ীপাড়া, আকন্দপাড়া ও চখারচরের ৩৪৬ গ্রাহকের জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ৬ কিলোমিটার বিদ্যুত লাইন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেও তারা মিটার পাচ্ছেন না।

ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, ৫ বছর আগে বিদ্যুতের লাইনের জন্য প্রতি মিটার বাবদ ৫ হাজার করে টাকা দিয়েছেন। এখন আবার প্রতি মিটার বাবদ অফিসের নির্ধারিত ৪৫০ টাকা ও গ্রাহকের ওয়ারিং রিপোর্ট নিয়ে সাব জোনাল অফিসে জমা দিতে গেলে এজিএম মীর আবু জামান প্রতি মিটার বাবদ অতিরিক্ত আরও ৫০০ টাকা করে ঘুষ দাবি করেন। এটা নিয়ে তারা এখন বিপাকে আছেন।

এলাকাবাসী বিদ্যুতের মিটার পাওয়ার আশায় ইতোমধ্যে ঘুষের দাবির মধ্যে ৩০ হাজার টাকাও দিয়েছেন এজিএমকে। বাকি ১ লাখ ২০ হাজার টাকাসহ মিটার বাবদ জামানত ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭০০ টাকা না দেওয়ায় ওই গ্রামের নতুন মিটার সংযোগের ফাইল জমা না নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছেন এজিএম মীর আবু জামান। ফলে এজিএম মীর আবু জামানের ঘুষ বাণিজ্যের কারণে যথা সময়ে ওই গ্রামে বিদ্যুতের আলো জ্বলছে না।

‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ উন্নয়নের এ সেøাগানকে কোনো তোয়াক্কা না করে এজিএম মীর আবু জামান অনৈতিক ফায়দা লুটার অপচেষ্টায় রয়েছেন। এতে যথাসময়ে বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। 

তবে দেওয়ানগঞ্জের সাব জোনাল অফিসের এজিএম মীর আবু জামান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অফিসে কোনো ফাইল জমা পড়েনি, তিনি কোনো গ্রাহকের কাছে ঘুষ বাবদ অতিরিক্ত টাকাও দাবি করেননি। তবে তিনি এলাকায় মাইকিং করবেন, গ্রাহকরা ফাইল জমা দিলে তিনি প্রয়োজনে স্পট মিটারের ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। তবে সুজন নামে এক ইলেকট্রিশিয়ান অফিসের কাজে অনিয়ম করায় তাকে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। সে-ই তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছে বলে এজিএমের অভিযোগ।

এ ব্যাপারে ইলেকট্রিশিয়ান সুজন জানায়, দেওয়ানগঞ্জের সাব জোনাল অফিসের এজিএম মীর আবু জামান একজন ঘুষখোর অফিসার। দেওয়ানগঞ্জে যোগদান করার পর আমার সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। গাড়িতে করে অফিস ও ব্যক্তিগত কাজে আমরা ঘুরেছি।

আমার দোকান থেকে তিনি দেওয়ানগঞ্জের সাব জোনাল অফিসের বিদ্যুতের সরঞ্জাম বাকিতে ক্রয় করেছেন। এখনো ১৫ হাজার টাকা পাওনা আছি। টাকা চাইতে গেলে তিনি বলেন, তোমরা ইলেকট্রিশিয়ানরা মিলেই তো সাব জোনাল অফিসের বিদ্যুতের সরঞ্জাম কিনে দিয়ে অফিস সাজাতে পারো। এখন পাওনা টাকা পরিশোধ না করে নানা টালবাহানা এবং আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন। গ্রাহকদের কোনো কাজ তিনি ঘুষ ছাড়া করেন না।

এ ব্যাপারে ইসলামপুর জোনাল অফিসের জিএম মুহা. শিফাজ উদ্দিন মল্লিক জানান, তিনি বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে ওই গ্রামে বিদ্যুতের মিটার দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

 
Electronic Paper