শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ীতে ঢাকামুখীদের ভিড়
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
🕐 ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ০৯, ২০২০
ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে আস্তে আস্তে রাজধানী ঢাকামুখী মানুষের ভিড় বাড়ছে। সড়কপথ ও নৌপথে এই ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে গতকাল শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুট হয়ে রাজধানীমুখী যাত্রীদের ভিড় বাড়তে দেখা গেছে। কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটগুলোতে যাত্রীদের চাপ ছিল চোখে পড়ার মত।
তবে পদ্মায় তীব্র স্রোত অব্যাহত থাকায় এ রুটে ধারণ ক্ষমতার কম যানবাহন নিয়ে সীমিত আকারে চলছে ফেরি। ফেরিগুলো বিকল্প চ্যানেল দিয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার ভাটি ঘুরে আসায় পারাপারেও বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে। ফেরি অচলাবস্থার কারণে ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় ৫ শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
যাত্রী চাপ সামাল দিতে ঘাট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন। কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্রে জানা যায়, ঈদ শেষ হলেও গতকাল শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুট হয়ে ঢাকাগামী দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের বেশি ভিড় দেখা গেছে। কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ।
এদিকে পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই এ রুটে ফেরি চলাচলে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
ডাম্ব ফেরিগুলো রয়েছে বন্ধ। আর প্রতিদিন দিনের বেলা সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করলেও সন্ধ্যার পর বন্ধ রাখা হচ্ছে ফেরি।
বিআইডব্লিউটিএ কাঁঠালবাড়ী ঘাট পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, গতকাল সকাল থেকেই কর্মস্থলমুখী যাত্রী চাপ রয়েছে। লঞ্চগুলোতে ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে আমাদের পাশাপাশি প্রশাসন কাজ করছে।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ী ঘাট সহকারী ম্যানেজার ভজন কুমার সাহা বলেন, নদীতে তীব্র স্রোত ও ডুবোচর রয়েছে। ডাম্ব ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। রো রো ও কেটাইপ ৮টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আমরা অ্যাম্বুলেন্স, কাঁচামালবাহী ট্রাক, জরুরি যানবাহন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পারাপার করছি।
যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি কিন্তু ফেরি চলাচল করছে কম। তবে চেষ্টা করছি।