ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মাওয়ায় পদ্মার ভাঙন অব্যাহত, হুমকিতে ফেরিঘাট ও স্থাপনা

মাহবুবুর রহমান, মুন্সীগঞ্জ
🕐 ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ০৮, ২০২০

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাট এলাকায় পদ্মার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহের অব্যাহত ভাঙন এবং তীব্র স্রোতে শিমুলিয়ার দুটি ফেরিঘাট এবং কুমারভোগে পদ্মা সেতু ইয়ার্ডের ব্যাপক এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। বাঁশ, জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। একদিকে ভাঙন রোধে শ্রমিকরা রাত-দিন চেষ্টা চালাচ্ছেন; অপরদিকে ভাঙনধারা অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় দ্রুত স্থায়ীভাবে নদী শাসন না করলে আগামীতে পদ্মা সেতুর পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং হুমকিতে থাকা ১ নম্বর ও ২ নম্বর ফেরিঘাটসহ বিআইডব্লিউটিসি ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের স্থাপনা বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের যাতায়াতে ব্যস্ততম এ নৌরুট বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, প্রমত্তা পদ্মার করাল গ্রাসে শিমুলিয়ায় কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটের ৩ নম্বর ফেরিঘাট গত ৩১ জুলাই নদীতে বিলীন হয়েছে। গত ৪ আগস্ট আবারও ভাঙনে ৪ নম্বর ফেরিঘাট এবং কুমারভোগের পদ্মা সেতুর ডকইয়ার্ডও প্রায় ১০০ মিটার এলাকা বিলীন হয়ে যায়। এতে পদ্মা সেতুর মালামালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে ফেরিঘাট এলাকায় পদ্মা নদী প্রায় ৬০০ ফুট ভেতরে ঢুকে পড়েছে।

গতকাল শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায়, ২ নম্বর ঘাট থেকে ২০০ মিটার দূরে নদী ১ হাজার মিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে। যে কোনো সময় নদীর তীব্র স্রোতে সোজা প্রবাহিত হয়ে বিস্তৃত এলাকা বিলীন হয়ে যাবে। এর আগে ২০১৫ সালের এ সময় কুমারভোগের ডকইয়ার্ডে আকস্মিক ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছিল। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আকস্মিক ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছিল।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, পদ্মার প্রচ- ঘূর্ণিস্রোতের তা-বে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের মালামাল ওঠানামার জন্য নির্মিত চারটি জেটির মধ্যে তিটি নদীতে ভেঙে পড়ে। প্রবল ঘূর্ণিতে ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে মিক্সার প্লান এলাকাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদী প্রায় ৩০-৪০ মিটার ভেতরে ঢুকে পড়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআইডব্লিউটিসির এক প্রকৌশলী বলেন, সর্বনাশা পদ্মার চরিত্র ভিন্ন প্রকৃতির। নদীর স্রোত বাধা পেলে পার্শ্ববর্তী এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়।

বিচিত্র পরিত্রের পদ্মা নদীপাড় নিচ থেকে তলদেশের মাটি মুহূর্তের মধ্যে ৫০ মিটার পর্যন্ত সরে যায় এবং ধসে পড়ে। ফেরিঘাট এলাকা থেকে প্রায় ১৫০০ মিটার দূরে নদীর মাঝে নির্মিত বিদ্যুতের প্রায় ১৬টি পিলার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে স্রোত বাধা পেয়ে ভেতরে ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান এবং বিআইডব্লিউটিসির প্রধান প্রকৌশলী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন।

 
Electronic Paper