ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নদীতে বিলীন অর্ধশত ঘর

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
🕐 ১১:১০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০৩, ২০২০

জামালপুরের বকশীগঞ্জে বন্যার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবারও বন্যার পানি স্থিতিশীল ছিল। এখন পর্যন্ত চারটি ইউনিয়নে বন্যার পানিতে ৩০টি গ্রামের ৩৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নদীতে বিলীন হয়ে গেছে অর্ধশত ঘরবাড়ি। সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বিলেরপাড়, বাংগাল পাড়া, মদনের চর, চর গাজীরপাড়া, চর কামালের বার্ত্তী, চর আইরমারী, কতুবের চর গ্রামের সব যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এছাড়া গাজীরপাড়া বাজার থেকে বাঙ্গাল পাড়া সড়কের উপর নির্মিত একটি ১০০ মিটারের সাঁকো বন্যার পানির স্রোতে ভেসে গেছে। এতে চারটি গ্রামের মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চর কামালের বার্ত্তী খালের উপর নির্মিত আরেকটি সাঁকো ভেঙে পড়ায় মানুষের চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও মেরুরচর ইউনিয়নের ঘুঘরাকান্দি, উজান কলকিহারা, ভাটি কলকিহারা, পূর্ব কলকিহারা, চিনারচর, মাইছানিরচর, আউল পাড়া, খেওয়ারচর, নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কুশল নগর, সাজিমারা, গোমের চর পাগলাপাড়া, বগারচর ইউনিয়নের আলীরপাড়া, বালুরচর, পেরিরচর, টালিয়া পাড়া, সাতভিটা গ্রামসহ ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বন্যার প্রবল স্রোতের কারণে গত এক সপ্তাহে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চর কামালের বার্ত্তী, আইরমারী , বাঙ্গাল পাড়া, নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কুশল নগর গ্রাম, মেরুরচর ইউনিয়নের পূর্ব কলকিহারা, উজান কলকিহারা গ্রামের অর্ধশত বসতভিটা ব্রহ্মপুত্র নদ ও দশানী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকেই দ্রুত বাড়িঘর অন্যত্র সড়িয়ে নিচ্ছেন।

গত বুধবার বিকালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

 

 
Electronic Paper