ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রূপগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দ্বন্দের জেরে যুবককে গলা কেটে হত্যা

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ, মে ৩০, ২০২০

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দ্বন্দের জেরে রাজন(৩৩) নামের এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গত ১৩ মে জবাই করে হত্যা চেষ্টার পর মুমুর্ষু অবস্থায় ১৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গত ২৯ মে রাতে মারা যায় সে।

নিহতের পিতা তোফাজ্জল হোসেন ও থানায় অভিযোগ পত্র সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁওয়ের আমগাঁওয়ের বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাজন (৩২) তারা মামা বাড়ি রূপগঞ্জের

রূপসীতে কাজীপাড়া জনকল্যাণ সমিতি নামে একটি সমবার সমিতি পরিচালনা করে আসছিলেন। ফলে রূপসীর বেশকিছু গ্রাহক ছিলো তার।

এদের মধ্যে কলাবাগান এলাকার কিছু চিহ্নিত মাদককারবারিরা তাদের পেশা গোঁপন করে রাজনের কাছ থেকে ঋন নেয়। এসব ঋনের টাকা ফেরৎ নিয়ে ওই এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দ্বন্দ ছিলো।

এরই জেরে গত ১৩ মে ইফতারের পর রাজন(৩২)কে কে বা কারা মুৃঠোফোনে ডেকে রূপসী কলাবাগান এলাকায় নিয়ে যায়। পরে তাকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করে । তার মৃত্যু নিশ্চিতের জন্য শ্বাসনালী কেটে দিতে নির্মমভাবে খুঁচিয়ে হত্যা চেষ্টা করে তারা। পরে তাকে একটি ক্যানেলের পাশে ফেলে রেখে যায়।স্থানীয়রা সে সময় মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বরপা লাইফ এইড হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখানকার চিকিৎসক

সোহরাওয়ার্দী হৃদরোগ হাসপাতাল পাঠান। পরে সেখানে ২৯ মে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পারিবার সূত্র আরো জানায়, সমিতির টাকা নিয়ে কলাবাগান এলাকার কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিরোধেরে জেরেই এ খুন হয় সে। এ ঘটনায় তার পিতা তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেন। তাদের দাবী কলাবাগান এলাকার সঙ্ঘবদ্ধ একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র তার কাছ থেকে ঋণ নেয়। সে ঋনের টাকা ফেরত দিবে বলে মুঠোফোনে ডেকে নেয়। পরে হত্যা এর জেরেই সে খুন হতে পারে।

এদিকে নিহতের মামা আলতাফ কাজী জানান, রূপসী কলাবাগান এলাকা মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয় লোকজন পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের জানালেও কোন প্রতিকার পাননি।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।

 

 
Electronic Paper