ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মাদারীপুরে জীবাণুনাশক সংকট ঝুঁকিতে লক্ষাধিক মানুষ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
🕐 ২:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০২০

মাদারীপুর জীবাণুনাশক ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। হেক্সিসল, স্যাভলন, স্যানিটাইজার ও হ্যান্ডওয়াসসহ অন্যান্য পণ্য এখন দু®প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুসহ লাখ লাখ মানুষ।

ঝিনুক বিশ্বাস নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘স্যাভলন কিনতে গিয়েছিলাম, পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করব বলে। কিন্তু কোনো দোকানে স্যাভলন পেলাম না। তাই ফিরে এসেছি। সব সময় করোনা আতঙ্কে আছি।

রেখা আক্তার নামে এক গৃহিনী বলেন, ‘আমার বাসায় ছোট ছেলে আছে। ছেলের গোসল করাতে ও বাসা জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য মেডিসিন কিনতে পারছি না। মাদারীপুরের কোনো দোকানে জীবাণুনাশক নেই। দ্রুত এসব মেডিসিন কিনতে না পারলে তো আমরা পুরো পরিবার করোনার ঝুঁকিতে পড়ে যাবো।

মাদারীপুরের রাজৈর জনতা ফার্মেসির মালিক অচিন্ত কুমার সাহা জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জীবানুনাশক ওষুধের চাহিদা মোতাবেক কোম্পানি সরবরাহ করতে না পারায় ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারছি না। শহরের কলেজ রোডের নিরাময় হাসপাতাল সংলগ্ন সিনহা ফার্মেসির মালিক আলী আজম সরদার বলেন, বাজারে জীবাণুনাশক সরবরাহ না থাকায় বিক্রি করতে পারছি না, ক্রেতা এসে ফিরে যাচ্ছেন।

সদর হাসপাতাল রোড এলাকার আরোগ্যালয় ফার্মেসির মালিক মতিউর রহমান বলেন, জীবাণুনাশকের যে পরিমাণ চাহিদা আছে, সে অনুযায়ী কোম্পানি দিচ্ছে না। আমরা নিজেরা স্যাভলন তৈরি করে ব্যবহার করছি।

মাদারীপুর কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাকিব হাসান বলেন, মাদারীপুরের ওষুধ ব্যবসায়ীরা মূলত ঢাকার মিডফোর্ট থেকে এসব মেডিসিন এনে থাকি। কিন্তু ওখানে পাওয়া যাচ্ছে না। ওখানে একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে। বাংলাদেশে অল্প কিছু মানুষ এসব মেডিসিন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই সরকারের এদিকে নজর দেওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।

সমিতির সভাপতি তাপস কুমার দাস বলেন, মাদারীপুরে এসব পণ্যের যে পরিমাণ চাহিদা তার ১০০ ভাগের ৫ ভাগ পাচ্ছি না। কোনো কোম্পানির সরবরাহ নেই। হেক্সিসল, জীবাণুনাশক লিকুইড এসব পণ্যের উপর যেহেতু সরকার শুল্কমুক্ত করেছে, তাই প্রতিটি কোম্পানির উচিত সেই ভাবে তৈরি করা। এখন সাপ্লাই পেলেই আমরা সরবরাহ করতে পারব।

মাদারীপুর ঔষধ প্রশাসনের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক বীথি রানী সরকার বলেন, হঠাৎ করে এসব জীবানুনাশক মেডিসিনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সরবরাহ দিতে সমস্যা হচ্ছে। মাদারীপুরে দুটি কোম্পানির ডিপো আছে। আমরা তাদের সঙ্গে বসে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব।

 
Electronic Paper