ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নিদের্শনা উপেক্ষা

সাভারে অধিকাংশ পোশাক কারখানা চালু

সাভার প্রতিনিধি
🕐 ১:০৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০২০

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ও প্রতিরোধে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সব পোশাক কারখানার মালিকদের কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান করেছিলো। এ আহ্বানে ইপিজেডসহ অধিকাংশ পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করলেও এখনো খোলা রয়েছে সাভার ও আশুলিয়ার অনেক কারখানা।

গোয়েন্দা বিভাগের তথ্য মতে, সাভার ও আশুলিয়ায় মোট পোশাক কারখানার সংখ্যা ১১৮১টি। এর মধ্যে বন্ধ আছে ১১০৯টি ও খোলা আছে ৭২টি পোশাক কারখানা। বন্ধ কারাখানার মধ্যে বিকেএমইএর ১২টি, বিজিএমইএর ছয়টি, বিটিএমইএর দুটি, বেপজার ৯টি ও অন্যান্য ৪২টি কারখানা খোলা রয়েছে। এছাড়া সাভারেও কয়েকটি কারখানা খোলা রয়েছে।

গত রোববার সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন কারখানা মাইন্ডওয়ান নীট কম্পোজিট লিমিটেড, ডেনিটেক্স লিমিটেড, এজেআই গ্রুপ লিমিটেড, ডেলিকেট গার্মেন্টস, এবিসি বাংলা এ্যাপারেলস লিমিটেডে গিয়ে দেখা গেছে, কারখানাগুলো খোলা রয়েছে। স্বাভাবিক দিনের মতোই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

মাইন্ডওয়ান নীট কম্পোজিট লিমিটেডের ভেতরে প্রবেশ করার পর কোনো রকম করোনা সতর্কতামূলক নোটিসসহ হাত ধোয়া-শরীরের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র চোখে পরেনি। এছাড়া শ্রমিকদের দিয়ে মাস্ক তৈরির কাজ করলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ।

কারখানাটির প্রডাকশন ম্যানেজার হাবিবুর রহমান সোহেল বলেন, আমরা কিছু শ্রমিক দিয়ে মাস্ক তৈরি করছি। কারখানার ভেতরে শ্রমিকদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এছাড়া বিকেলের মধ্যেই কারখানার সামনে নোটিস ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এবিসি বাংলা অ্যাপারেলস লিমিটেডের এক শ্রমিক বলেন, আমাদের কারখানা সব সরকারি ছুটিতেও খোলা রাখে।

গত ২৬ মার্চেও আমরা কাজ করেছি। আমরা শ্রমিকরা ভয়ে রয়েছি যেকোনো সময় করোনায় আক্রান্ত হতে পারি। কারখানার ভেতরে করোনারোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। কারখানার মালিককে কয়েকবার বলা হলেও কারখানা বন্ধ না করে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ অব্যাহত রেখেছেন।

এবিসি বাংলা অ্যাপারেলস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল কায়ুউম বলেন, আমাদের কারখানায় কাজের চাপ একটু বেশি ছিলো। তাই গত কয়দিন ধরে কাজ করানো হয়েছে। বর্তমানে শ্রমিকরা আবেদন করেছে কারখানা খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ ঘোষণা করা হবে।

ডেনিটেক্স লিমিটেডের অ্যাডমিন আদিল বলেন, কিছু শিপমেন্টের তৈরি পোশাক ছিলো সেগুলো শেষ করা হলো। আগামীকাল থেকে আমাদের কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা খাইরুল ইসলাম মিন্টু বলেন, মালিকরা জোরপূর্বক কারখানাগুলো চালানোর চেষ্টা করছে। একদিকে মালিকরা বলছেন তাদের শিপমেন্ট সমস্যা অন্যদিকে বলছেন এখন পোশাক তৈরি করে কি হবে। আবার যেসব কারখানা মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট তৈরি করছে তারা সব আইনকানুন মেনে চলুক সমস্যা নেই। তাই আমি বলি বাংলাদেশের সব কিছুর মত শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে কারখানাগুলো বন্ধ রাখা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

 

 
Electronic Paper