ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রূপগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াতে ভোগান্তি

মাহবুব আলম, (নারায়ণগঞ্জ) রূপগঞ্জ
🕐 ৩:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যার পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের স্বাস্থ্য সেবায় একমাত্র সরকারি হাসপাতাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ হাসপাতালে যাতায়াতে মুশুরী শাহবাসপুর এবং মুড়াপাড়ার বানিয়াদি হয়ে উপজেলার উভয় পাড়ের রোগী ও জনসাধারণের নদী পারাপারে রয়েছে একটি ঘাট। এ ঘাট দিয়ে পূর্ব পাড়ের গোলাকান্দাইল, ভুলতা, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন, তারাব পৌরসভা এবং পশ্চিম পাড়ের সদর ইউনিয়ন, দাউদপুরের লোকজনসহ উপজেলার হাজারো যাতায়াতকারী এ ঘাট দিয়ে পারাপার হন।

নদী পারাপারের সময় উভয় পাড়ের আশপাশে নেই কোন বসতঘর কিংবা বিশ্রামাগার। রোগী পরিবহনে নেই নৌ-অ্যাম্বুলেন্স। এমনকি এখানে নেই বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদিত জেটি বা ঘাটলা। কিংবা কোন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের করা যাত্রী ছাউনি। তাই খোলা মাঠে নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হয় এ পথে যাতায়াতকারীদের। এতে অপেক্ষমান রোগী ও স্বজনদের গরমের সময় রোদ বৃষ্টি আর শীতের সময় ভোগান্তি পোহাতে হয়।

এসব সমস্যার সমাধানে স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি একটি নৌ-অ্যাম্বুলেন্সের। স্থলপথে অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও নৌ-অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় জরুরি চিকিৎসাসেবা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে এখানকার হতদরিদ্ররা। স্থানীয়দের দাবির মুখে উপজেলা পরিষদ একটি থোক বরাদ্দের মাধ্যমে ঘাটলার সমস্যা দূর করতে কাজ শুরু করলেও যাত্রী ছাউনি নিয়ে কেউ কাজ করছেন না। এতে পুরনো সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।

এ ঘাটটিতে ব্যস্ততা এখনো আগের চেয়ে বেশি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ও স্বজনদের যাতায়াতকারীরাই এ ঘাট ব্যবহার অব্যাহত রেখেছেন। ফলে এ ঘাটের নিরাপত্তা, বিশ্রামাগার কিংবা যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা অতীব জরুরি। প্রায় সময় দেখা যায় নদী পারাপারের সময় রোগীরা বৃষ্টিতে ভিজে থাকেন। বজ্রপাতের সময় এর অবস্থা করুন হয়ে যায়। ফলে নদী পাড়ের উভয় ঘাটে যাত্রী ছাউনি দরকার।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রমজান আলী মন্ডল বলেন, হাসপাতালটি নদী পারের হলেও নেই নৌ-অ্যাম্বুলেন্স। তাছাড়া নদী পারাপারের সময় যাত্রী ছাউনি না থাকায় এখানে জনভোগান্তির শেষ নেই। এ সমস্যা দূর করতে উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সাইদ আল মামুন বলেন, ভৌগোলিকভাবে হাসপাতালটির অবস্থান নদী পাড়ে। তাই উভয় পাড়ের নৌকার জন্য অপেক্ষমান রোগীদের নিরাপদ যাতায়াত সুবিধার্থে যাত্রী ছাউনি প্রয়োজন।

রূপগঞ্জ ইউএনও মমতাজ বেগম বলেন, নদী পারাপারের জন্য রোগী ও জনসাধারণের ভোগান্তি দূর করতে ইতোমধ্যে ঘাটলা নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। যাত্রী ছাউনি বাস্তবায়নের জন্য খুব শীঘ্রই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হবে।

 
Electronic Paper