মির্জাপুরে অবৈধভাবে মাটিকাটার মহোৎসোব
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
🕐 ৫:৩৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায় অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের মাটিকাটার মহোৎসোব চলছে। বিভিন্ন এলাকায় দিনে রাতে ডামট্রাক করে মাটি যাচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে। মাটি কাটার জন্য নদীর উপর অস্থায়ি বাধ নির্মান করেনিয়েছে তারা।
উপজেলার কোট বহুরিয়া, মন্দিরাপাড়া, মীর দেওহাটা এলাকায় সরজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা মিলেছে। লৌহজং নদীর কোট বহুরিয়া, মীর দেওহাটা এলাকার নদীর উপর ভরাট করে তিনটি রাস্তা বানানো হয়েছে। দিনে রাতে ড্রামট্রাকযোগে চলছে মাটি বিক্রি। নদীর উপর বাঁধ দেওয়ার ফলে নদীর গতিপথ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে নৌ যোগাযোগ বন্ধের পাশাপাশি বন্ধ হয়ে গেছে বোরো আবাদ। মাটি কাটার এই মহাযজ্ঞের নেতৃত্বে রয়েছে কয়েকটি প্রভাবশালী মহল। ১০ থেকে ১২ টি ভেক্যু মেশিন দিয়ে প্রায় ৪০-৫০ টি ড্রামট্রাকযোগে মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে স্থানীয় ইটভাটাগুলোতে।
মাটি ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন, উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামের ইটভাটার মালিক মোঃ ফজল মিয়া, ফরিদ মিয়া, শহিদুর রহমান শহিদ, মোতালেব মিয়া, আকবর মিয়া, আসাদসহ গংরা এই মাটি কাটার মহাযজ্ঞের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, কেউ কেউ স্বেচ্ছায় মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে তাদের জমি বিক্রি করলেও অনেকে বাধ্য হয়েও জমি বিক্রি করেছেন। জমি বিক্রি না করলে তার পাশের জমি থেকে এমন ভাবে মাটি উত্তোলন করা হয় যাতে এই জমির মালিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে কমমূল্যে আবাদি জমি বিক্রি করে দেয় স্থানীয় কৃষকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, প্রতি বছরই এভাবে কৃষি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী মহল। এতে করে কৃষিজমি কমে যাচ্ছে। শত শত মাটির ট্রাক রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় ব্যাপক ধূলোয় বাড়ছে রোগ-ব্যধি, নদীও হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য।
মাটি ব্যবসায়ী আকবর ও ইটভাটা মালিক ফরিদ মিয়ার সাথে কথা হলে তারা বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মিমাংসা করার প্রস্তাব দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক জানান, আমরা প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অবৈধ মাটি ব্যবসা বন্ধ করে চলেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলোও বন্ধ করা হবে।