ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পদ্মাপাড়ে আতঙ্ক

নুরে আলম জিকু, নড়িয়া (শরীয়তপুর)
🕐 ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাঁধের ৫০০ মিটারের মধ্যে ড্রেজার দিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন পদ্মাপাড়ের হাজার হাজার মানুষ। ২০১৮ সালে পদ্মার ভাঙনে ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গৃহহীন হয়েছিল প্রায় ছয় হাজার পরিবার। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে নড়িয়াবাসীকে রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড এক হাজার ৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ডানতীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়।

পদ্মার ভাঙনে গৃহহীন আব্দুল মজিদ মুন্সি জানান, প্রতি বছরই পদ্মার ভাঙনের কারণে নড়িয়া উপজেলার হাজার হাজার ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়। ২০১৮ সালে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গৃহহীন হয়েছিল প্রায় ছয় হাজার পরিবার। ভাঙন রোধে সরকার প্রায় ১৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধ নামে নয় কিলোমিটারের একটি প্রকল্প হাতে নেয়।

ভাঙন রোধে লাখ লাখ জিও ব্যাগ ও আর সি ব্লক ফেলে ভাঙন রোধ করে। গত বছর একই উপজেলার দক্ষিণ কেদারপুর ইউনিয়নের কিছু অংশে ভাঙন দেখা দেয়। এরপর ওই এলাকায় জিও ব্যাগ ও আর সি ব্লক ফেলে ভাঙন রোধ করা হয়। এক বছর ধরে ডানতীর রক্ষা বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে চরাত্রা নয় নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারের নেতৃত্বে একটি মহল বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এতে ভাঙন আতঙ্কে পড়েছে পদ্মাপাড়ের হাজার হাজার মানুষ।

সরেজমিন দেখা যায়, পদ্মার ডানতীর রক্ষা বাঁধের উত্তর পাশে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে পদ্মার তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙনের মুখে পড়তে পারে নড়িয়া উপজেলার শেহের আলী মাদবর কান্দি, নড়িয়া পৌর এলাকার লঞ্চঘাট, বাশতলা, মুলফৎগঞ্জ, সাধুর বাজার, কেদারপুর, পাঁচগাঁও, শুরেশ^রসহ প্রায় ২০টি গ্রাম।

বালু উত্তোলনের কথা স্বীকার করে চরাত্রা ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুর রহিম বলেন, বালু উত্তোলন করে পদ্মার ডানতীর রক্ষা বাঁধের ঠিকাদার বেঙ্গল গ্রুপ ও বিভিন্ন সাইটে আমি সরবরাহ করি।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তি রুমা রায় বলেন, আমরা একাধিক অভিযান পরিচালনা করেছি। সরকারি ড্রেজারের বাইরে কাউকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেয়নি।

শরীয়তপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, আমরা পদ্মার ডানতীর রক্ষা বাঁধের ডিস ফিলিংয়ের কাজ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছিলাম। তবে আমরা যাদের কাজ দিয়েছিলাম তাদের মধ্যে রহিম মেম্বার নেই। তাই এভাবে বালু উত্তোলন অবৈধ।

 
Electronic Paper