উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উপজেলার হোসেন্দী কলেজের সঙ্গে পাদুয়াখালী খালের উপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যরে সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ২৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। ২০১৭ সালের মে মাসে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। সরজমিন দেখা যায়, পাকুন্দিয়া থেকে হোসেন্দী হয়ে পাটুয়াভাঙ্গা যাওয়ার রাস্তায় হোসেন্দী কলেজের উত্তর-পূর্ব পাশে পাদুয়াখালী খালের উপর একটি পুরাতন সেতু আছে। তার ২০ গজ পশ্চিমে তিন বছর আগে আরও একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। এর এক প্রান্তে রাস্তা অন্যপাশে পুকুর থাকায় ২৪ লাখ টাকার সেতুটি তিন বছরে ২৪ পয়সারও কাজে আসেনি।

হোসেন্দী আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ রাকিব উদ্দিন মোশায়েব বলেন, কলেজের উত্তর পাশে পাদুয়াখালী নদী তার অপর প্রান্তে পুকুরটি কলেজের। পুকুরটিতে কলেজের ক্যাম্পাস ও আবাসিক ভবন হওয়ার পরিকল্পনায় কলেজের গেটের সম্মুখ দিয়ে খাল পার হয়ে সহজে ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্যই এ সেতটি নির্মাণ করা হয়। তবে কবে নাগাদ ভবন হবে তা জানা নেই কলেজ অধ্যক্ষের। হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান আকন্দ বলেন, সরকারি টাকা খরচ করে অহেতুক নির্মাণ করা সেতুটি তিন বছরে কোনো কাজে আসেনি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কর্মকর্তা রওশন করিম বলেন, পাদুয়াখালী নদীর উপর সেতুটি নির্মাণের সময়ে আমি দায়িত্বে না থাকায় কেন কোন প্রয়োজনে নির্মাণ হয়েছিল তা আমার জানা নেই।