ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কিশোরগঞ্জে পলিথিনের অবাধ ব্যবহার

হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য

সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
🕐 ৩:৫২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২০

কিশোরগঞ্জে চলছে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যাপক ব্যবহার। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক এসব পলিথিনে খাদ্যসহ নানা পণ্য ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। ফলে থেকেই যাচ্ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। পলিথিনে সঞ্চিত পানি থেকে এডিস বা অ্যানোফিলিশ মশার বংশবৃদ্ধির ক্ষেত্র পরিণত হয়। জেলার সর্বত্র পলিথিনের ব্যাপক ব্যবহার দেখা গেলেও প্রশাসনের কোনো নজর নেই এ ব্যাপারে। যে যার মতো পলিথিন ব্যবহার করে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যকে ঠেলে দিচ্ছে ঝুঁকির দিকে।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ক্ষতিকারক পলিথিনে তাদের বিক্রিত পণ্য দেদারছে দিচ্ছেন। বিভিন্ন কোম্পানির চাল, ডাল, আলু ও পেঁয়াজের বস্তা পলিথিন দিয়ে মোড়ানো। যা ১৫ দিনের অধিক থাকলে এসব পণ্য ব্যবহারে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

পরিবেশ অধিদফতর সূত্র জানায়, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০০২ এর উল্লেখ রয়েছে, ‘সরকার নির্ধারিত পলিথিন সামগ্রী উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণে প্রথম অপরাধের দায়ে অনধিক ২ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা অনূন্য ২ লাখ টাকা, অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন অপরাধীরা।’ আরও বলা আছে, ‘বিক্রি, বিক্রির জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের দায়ে অনধিক এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।’

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাজরিনা তাইয়্যেবা জানান, পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যাগে যখন গরম খাদ্যবস্তু রাখা হয়, তখন তা থেকে স্টাইরিন নামক একটি বিষাক্ত উপাদান রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্যবস্তুতে মিশে যায়, যা কার্সিনোজেন হিসেবে কাজ করে এবং ক্যানসার ঘটায়। ‘থ্যালেটস’ ও ‘বিসফেনল-এ’ নামক আরও দু’টি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নিষ্ক্রমণ করে যা ডায়বেটিসের জন্য দায়ী এবং হৃদরোগ ও লিভারেরও প্রভূত ক্ষতি করে এবং গর্ভবতী মায়েদের নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি করে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদির মিয়া জানান, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য পলিথিনের ব্যবহার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। পলিথিন ব্যবহার রোধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই পলিথিনের ব্যবহার একেবারে কমে যাবে।

 
Electronic Paper