ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ধান আবাদ থেকে সরে যাচ্ছেন কৃষক

ফরিদপুর প্রতিনিধি
🕐 ৩:১৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২০

কৃষকদের অবস্থা তেমন সুবিধার না। এই অবস্থায় লোকসানের মুখে ফরিদপুর অঞ্চলে বোর ধান আবাদ থেকে সড়ে যাচ্ছেন কৃষক। গত নয় বছরে জেলার কৃষি বিভাগের আবাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ কমেছে। আশানুরুপ মূল্য না পাওয়া আর উৎপাদন খরচ অধিক হওয়ায় এই অবস্থা প্রকট হচ্ছে। ওদিকে দিনি দিন কমেই চলেছে ধানের আবাদ। এখন বোরোর মৌসুমে চাষিরা ঝুঁকছে সরিষা, মসুর, পেঁয়াজ ও গম জাতীয় ফসলের দিকে।

ফরিদপুর কৃষি বিভাগ সূত্র গণমাধ্যমকে জানান, ফরিদপুর জেলার নয়টি উপজেলায় ২০১০-১১ সালে জেলায় বোরো মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৯ হাজার ৪১৭ হেক্টর, এর বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৩৮ হাজার ৬ হেক্টর। কিন্তু চলতি মৌসুমে (২০১৯-২০) বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে।

বোরো ধানের বদলে এবার লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পেঁয়াজ ৯ হাজার হেক্টর, সরিষা ৩ হাজার হেক্টর, মসুর ৪ হাজার হাজার হেক্টর, আর গম প্রায় ৩ হাজার হেক্টর অতিরিক্ত চাষ হয়েছে।

বোরো চাষে ধ্বসের কারণ স্থানীয় কৃষকরা গণমাধ্যমকে জানান, এ ধান চাষ শুধু সেচ নির্ভর। আর সেচ কাজে জ্বালানির দাম, শ্রমিক খরচ অধিক হওয়া, অন্যদিকে উৎপাদিত এ ধানের দাম কাঙ্খিত না পাওয়ায় এমনটি হয়েছে। তারা জানান, বোরো বাদ দিয়ে আমরা এখন অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকছি।

তারা আরো বলেন, এলসির মাধ্যমে চাল আসায় দেশের কৃষকরা প্রকৃত মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া সরকার যখন ধান কিংবা চাল কেনে সেটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মিলারদের কাছ থেকে, কৃষক সময় মতো সরাসরি দিতে পারে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে কৃষকরা এমনিভাবেই বোরো ধান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে থাকবে। তিনি সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, ধান চাষে কৃষকদের প্রতি আরও সদয় হতে হবে, প্রয়োজনে ভর্তূকি দিতে হবে।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, শস্য বহুমুখীকরণের জন্য কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, এর ফলে গম, পেঁয়াজ, মসুরির মতো বিকল্প ফসলের চাষ বাড়ছে। তিনি বলেন, জেলায় বোরো উৎপাদন কম হলেও দেশের খাদ্য সংকট হবে না।

 
Electronic Paper