খাল এখন আবর্জনার ভাগাড়
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
মানিকগঞ্জ শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত একমাত্র খালটি বর্তমানে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এক সময় বড় বড় স্টিমার ও মালবাহী নৌকা চললেও কালের বিবর্তন আর পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা আর ত্রুটিপূর্ণ পরিকল্পনার ফলে ড্রেনে পরিণত হয় খালটি।
মানিকগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, খালটি পশ্চিম বান্দুটিয়া থেকে শুরু হয়ে সোনাকান্দর এলাকায় গিয়ে শেষ হয়েছে। ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ খালটির দুই প্রান্তই মিলেছে কালীগঙ্গা নদীতে গিয়ে।
দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এটি পরিণত হয়েছে অভিশাপে। খালের ওয়াকওয়ে দখল করে খাবার হোটেলসহ নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের দোকান। এসব হোটেল ও বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা প্রতিদিন ফেলা হচ্ছে খালটিতে। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পৌরবাসীকে। পঁচা দুর্গন্ধ ও মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পৌরবাসী। পথচারীদের জন্য নির্মিত ওয়াকওয়ে ও বসার বেঞ্চগুলোও সম্পূর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এদিকে খালের দুপাড়েই পাল্লা দিয়ে চলছে দখলের প্রতিযোগিতা। সেখানে নিজেদের ইচ্ছেমতো স্থাপনা গড়ছেন প্রভাবশালীরা।
এছাড়া ২০০৮ সালে শহরের একমাত্র খালটির সংস্কার ও শোভাবর্ধনের কাজ হাতে নিয়েছিল মানিকগঞ্জ পৌরসভা। এডিবি, জিওবি ও ওপেকের আর্থিক সহায়তায় ৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে খালটির দুপাড় সিসি ব্লক ও জিও টেক্স দিয়ে বাধানো হয়। খালের দুপাড়ে চার ফুট চওড়া ওয়াকওয়ে, সারফেস ড্রেন ও পথচারীদের বসার জন্য নির্মাণ করা হয় বেঞ্চ। কিন্তু নির্মাণের কিছুদিন পর থেকেই সিসি ব্লক ধসে পড়ে খালের মধ্যে।
পরিবেশকর্মী অ্যাড. দীপক ঘোষ বলেন, যে পরিমাণ ও যেভাবে খালটি সংস্কার করার কথা ছিল, সে ভাবে তা করা হয়নি। খালটি পুন:সংস্কার না করলে এটি মানিকগঞ্জবাসীর জন্য অনেক কষ্ট বয়ে আনবে।
পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা গাজী কামরুল হুদা সেলিম বলেন, খালটি দখলমুক্ত করে নান্দনিক করা হবে। কেউ যেন এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে না পারেন সে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।