ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কুয়াশায় নৌ চলাচল ব্যাহত

চাঁদপুর প্রতিনিধি
🕐 ২:২৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে দক্ষিণে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার এলাকা হচ্ছে নৌ-সীমানা। মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে রয়েছে প্রায় ৩০টির বেশি চর। চরের মধ্যে বছরের অন্য সময় লঞ্চ আটকা না পড়লেও শীত মৌসুম আসলে ঘন কুয়াশার কারণে প্রায়ই যাত্রীবাহী লঞ্চ, লাইটার জাহাজ ও মালবাহী ট্রলার আটক পড়ে। লঞ্চগুলো আটক পড়লেই চরম ভোগান্তির শিকার হয় শত শত যাত্রী।

এই নৌ-রুটে চাঁদপুরের প্রায় ৪০টি যাত্রীবাহী লঞ্চসহ দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকশ লঞ্চে কমপক্ষে ৫০ লাখ যাত্রী প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন। নৌ-চ্যানেলগুলো থেকে বয়া, বিকন বাতি কম থাকা এবং তত্ত্বাবধানের অভাবে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় এসব যাত্রীদের।

গতকাল সোমবার এই বিষয়ে কথা হয় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে হাই স্পিড কোম্পানির লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকারের সঙ্গে। তিনি জানান, নৌ-রুটগুলোতে নাব্যতা সংকট হলে সাধারণত লঞ্চের মাস্টার ও জাহাজগুলোর ক্যাপ্টেন বিআইডাব্লিউটিএর নৌ সওজ বিভাগকে অবহিত করেন। তারাই সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেন।

নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগ চাঁদপুরের উপ-পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান জানান, চাঁদরপুর-ঢাকা ও চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ নৌ-পথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলে ৪০টি। এছাড়া ষাটনল থেকে আজাদ বাজার, চাঁদপুর-হিজলা, চাঁদপুর-নন্দির বাজার, চাঁদপুর-মাদারীপুর, চাঁদপুর-মাওয়াসহ বেশকিছু ছোট-ছোট শাখা নদী রয়েছে এর সঙ্গে। বয়া ও বিকন বাতি না থাকায় মাঝে মাঝে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে নৌযানগুলোকে।

তিনি আরো বলেন, বয়া ও বিকন বাতিগুলো অনেক মূল্যবান। দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা একটি বিকন বাতির দাম পড়ে ৬০-৭০ হাজার টাকা। এসব বাতিগুলোর বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ যেমন- সোলার, ব্যাটারি ও বাতি চুরি হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় নদীতে বর্তমানে এত বাল্কহেড চলছে যে এই বাল্কহেডের ধাক্কায় এসব বাতিসহ এর যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, চাঁদপুর নৌ সীমানায় বর্তমানে বড় ধরনের কোন চর জেগে উঠেনি। তবে আমরা হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে একটি চর খনন করার জন্য ২০১৩ সালে প্রকল্প পাঠিয়েছিলাম। ২০১৭ সালে সেই প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয় গ্রহণ করে। আমরা ২০১৩ কিলোমিটার চর খননের জন্য প্রকল্প দিলেও এখন চর বড় হয়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

 
Electronic Paper