ফসলি জমিতে ইটভাটা
মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
🕐 ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের গোমারা গ্রামে ঘনবসতি ও তিন ফসলী জমিতে ইটভাটা করায় স্থানীয় ৩/৪ গ্রামের মানুষ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রধানদের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের গোমারা গ্রামে তিন ফসলি জমি ও ঘনবসতি এলাকায় এমএমকেবি ব্রিকস নামক ভাটাটি অবস্থিত। অভিযোগ কারীগণ লিখিত অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছেন পাশে মধুমতি নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
ইটভাটায় ব্যবহৃত যানগুলি বেপরোয়া গতিতে চলাচল করায় রাস্তার যেমন ক্ষতি হচ্ছে, ঝুঁকি বাড়ছে কোমলমতি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে। এতে প্রচন্ড হুমকির মুখে স্থানীয় পরিবেশ। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইটভাটাটি স্থাপিত হওয়ায় এবং অভিযোগকারীদের দাবি ভাটাটি পরিবেশ আইন মেনে প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। অবৈধ ভাটাটি উচ্ছেদের দাবি করেন অভিযোগ কারীরা।
এ ব্যাপারে ইট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের একজন মো. মিটুল তার মোবাইল ফোনে ভাটার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকল কাগজপত্রই আমাদের আছে বলে দাবি করেন।
জানা গেছে, ইটভাটা মালিক পক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কোন অস্তিত নাই। অভিযোগ কারীদের একজন মিটাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লিয়াকত আলী খান এর মোবাইলে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, ভাটা করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভাটা মালিকদের নাই। আমি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় আমাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মোবাইল থেকে হুমকি দিচ্ছে।
ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. লুৎফর রহমানের মোবাইলে ভাটার ছাড়পত্র প্রদান করেছন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি খুবই অসুস্থ, কথা বলতে পারবো না বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।
মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা মনোয়ার এর মোবাইলে অভিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশসকের কার্যালয়ে তদন্তাধীন আছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাব মন্ডলের কাছে ছাড়পত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কৃষি জমিতে ভাটা করার জন্য আমি কোন প্রকার ছাড়পত্র প্রদান করি নাই।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
