ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এতিমখানার ছাদ ধসে আহত অর্ধশত

চাঁদপুর প্রতিনিধি
🕐 ১২:৪৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০১৯

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজিকান্দি কমপ্লেক্সের আল-আমিন এতিমখানার পরিত্যাক্ত ভবনের ছাদ ধসে অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ৪৪ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা স্থানান্তর করা হয়েছে।

গত শনিবার রাত ১০টার দিকে পরিত্যক্ত চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে শিক্ষককের সঙ্গে শতাধিক শিক্ষার্থী বিজয় দিবসের কুঁচকাওয়াজে অংশগ্রহণ বিষয়ে একত্রিত হলে এ দুর্ঘটনার শিকার হয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আহম্মদ উল্যাহ বলেন, মতলব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল ২৫ জন। এর মধ্যে নয়জন ছাড়া বাকিদের চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ও তিনজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, এতিমখানার সব ছাত্রদের মাদ্রাসার পরীক্ষা শেষ হয় শনিবার। গতকাল রোববার ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে প্রস্তুতির জন্য কাউকে ছুটি দেওয়া হয়নি। প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সবাইকে কথা বলার জন্য ডেকে আনা হয় ঘটনাস্থলে। একত্রিত হলেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শিক্ষার্থীরা। ঘটনার পরই স্থানীয়দের ও মাদ্রাসার অন্য শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আহতদের মতলব উত্তর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ফরাজিকান্দি আলিয়া মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মাসুদ আল বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ফরাজীকান্দি আল-আমিন এতিমখানা থেকে একটি টিম জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে, একটি টিম চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে এবং একটি টিম মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে কুঁচকাওয়াজ প্রদর্শন করতে পাঠানো হয়। সে কারণে টিম লিডার মোহাম্মদ হোসেন এতিমখানার কুঁচকাওয়াজে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে টিমের তালিকা তৈরি করছিলেন। এ সময় এতিমখানার বর্ধিত অংশের দ্বিতীয় তলার ছাদ ধসে পড়ে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ শওকত ওসমান বলেন, ঘটনার পরই আমরা তিন হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ভবনটি আগে থেকেই পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।

জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান বলেন, আহতদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তারা এখন ভালো আছে। যারা গুরুতর আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আমরা আহত শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছি।

 
Electronic Paper