ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দ্রুতগতিতে চলছে বাফার গোডাউন নির্মাণ

আনন্দে কৃষক

সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
🕐 ৭:১১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাংলাদেশে কোন কৃষক সার সংকটে পড়বে না। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার কৃষকদের দুঃখ ঘোঁচাতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৩টি সারের বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিন্নাটিতে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বাফার গোডাউন নির্মাণ।

বিসিআইসির একটি প্রকল্প যা ১৮ মাসের মধ্যেই সমাপ্ত হবার কথা থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে তার আগেই শেষ হবে নির্মাণ কাজ। সেনাকল্যাণ সংস্থা এবং তাওফিকা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে চলছে নির্মাণ কাজ।

সূত্র জানায়, বিভিন্ন স্থানে লাখ লাখ মেট্রিক টন সার খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকত। ফলে জমিতে এসব সারের কার্যকারিতা কমে যেত। খোলা জায়গায় রাখার কারণে সার জমাট বেধে দ্রুত নষ্ট হয়ে যেত। ফলে কৃষকরা সারের প্রকৃত সুফল পেত না। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর জেলার কৃষকদের কোনো সার সংকট থাকবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। অতীতে বিভিন্ন সময় সারের সংকটের ফলে কৃষকদের দুর্গতির কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। যা প্রশংসার যোগ্য।

প্রায় ৪.০০ একর জায়গার মধ্যে হচ্ছে বাফার এই গোডাউনটি। এ গোডাউনে ১০ হাজার মেট্রিক টন সারের মজুদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ গোডাউন ভূমিকা রাখবে। গোডাউনের আয়ুষ্কালে (৫০বছর) গোডাউন ভাড়া ও সার রি-ব্যাগিং (পুণরায় প্যাকেটজাত করা) বাবদ প্রায় ২৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অতীতে সারের জন্য ভালোভাবে চাষবাস করতে পারতাম না। আমরা জেনেছি সারের জন্য কৃষক মারা গিয়েছে। আমরা তখন হালই ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু দিন বদলের পালায় আজ আমরা সারে স্বয়ং সম্পূর্ণ হতে যাচ্ছি। যা ভাবলেই আনন্দে বুক ভেসে যাচ্ছে। সার সংকট দূর হলে আমরা নির্বিঘ্নে চাষ করতে পারব। আমাদের আয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। ফলে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।

জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, ১৩ জেলায় বাফার গোডাউন নির্মাণের লক্ষ্যে ১৮ মাস মেয়াদী এ প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ গোডাউন তৈরী হওয়াতে কিশোরগঞ্জ জেলার কৃষকরা আর কোন সার সংকটে পড়বে না। ফলে কৃষিতে আমরা একধাপ এগিয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০-২১ বাস্তবায়ন হচ্ছে যা ভেবে সত্যিই আমরা আবেগাপ্লুত হই।

 
Electronic Paper