ইটভাটার ধোঁয়ায় বিপর্যস্ত পরিবেশ
আজাদ নাদভী, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ)
🕐 ১২:৪১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় ফসলি জমি নষ্ট করে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই গড়ে উঠছে একের পর এক ইটভাটা। এসব ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় একদিকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে ভাটার পাশের বাসিন্দারা। অন্যদিকে ফসলি জমি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন অনেক কৃষক।
উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে কেয়াইন, বাসাইল ও বালুচর ইউনিয়নে প্রায় পঞ্চাশটির অধিক ইটভাটা রয়েছে যার অধিকাংশ ইটভাটায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইট পোড়ানো কার্যক্রম।
সিরাজদিখান ইটভাটার মালিক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদিন বলেন, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে প্রায় ৪০-৪২ টি ইটভাটা রয়েছে এর মধ্যে কিছু বন্ধ ও আছে। ইটের ভাটাগুলোতে চিমনির সঙ্গে একধরনের পানির ঝরনা ব্যবহার করলে এই দূষণ অনেকখানি কমিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু সেটি ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে অনেকে এতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.বদিউজ্জামান বলেন, ‘ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় কারণে মানুষের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ফুসফুসে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া ধুলাবালু থেকে অ্যালার্জি, চুলকানিসহ বিভিন্ন চর্মরোগ হতে পারে। হাঁপানি রোগ দেখা দিতে পারে।’
মুন্সীগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নাইম মিয়া বলেন, বর্তমানে ইটভাটায় বিভিন্ন ভাবে অভিযান চলছে। প্রতিদিন আমি নিজে থেকে অভিযান পরিচালনা করছি। তবে জেলার ৭২টির মধ্যে সবচেয়ে বেশী সিরাজদিখানে এর মধ্যে। জেলায় ৩২টি ইটভাটা সম্পূর্ণ জিকযাক প্রযুক্তি সম্পন্ন এগুলো তুলনামূলক ভাবে কম দূষণ করে। বাকি ইটভাটায় বিভিন্ন ধরনের চিঠি ইসুসহ সব পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। এ ধরনের ইট ভাটাগুলোকে আর্থিক জরিমানাসহ ভেঙে নষ্ট করা হবে।