দৌলতপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ
জালাল উদ্দিন ভিকু, মানিকগঞ্জ
🕐 ২:০৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০১৯
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, পানির ট্যাংকি পরিস্কার, অ্যাম্বুলেন্স মেরামত ও আপ্যায়ন বাবদসহ আরও কয়েকটি খাত থেকে ১৫ লক্ষাধিক টাকা লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি খাতের সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকার হদিস মিলছে না। জুন ক্লোজিংয়ের সময় অফিস সহকারী আব্দুল বাতেনের স্ত্রীর একাউন্টে ২০ লাখ জমা করা হয়েছিল।
পরে ওই অর্থ উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়া হয়। এসব অর্থ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমানসহ কয়েকজন কর্মচারী আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে কৈফিয়ত তলব করেছে সিভিল সার্জন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, একমাসে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বাবদ ভুয়া বিল ভাউচার করে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে তুলে নিয়েছেন তিন লাখ টাকার ওপরে। এছাড়া একমাসে আপ্যায়ন বাবদও এক লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলনসহ আশির দশকে পরিত্যক্ত থানা ডিসপেনসারীর আগাছা পরিস্কারের নামে লাখ টাকার বেশী আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকারি লাখ লাখ টাকা নয়-ছয় করার পাশাপাশি মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের সময় গত ২৮ অক্টোবর ওই কর্মকর্তার সরকারি বাসা থেকে ‘এক মণ মা ইলিশ’ মজুদের অভিযোগে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান জানান, সরকারি বিধি বিধান মেনেই তিনি কাজ করেছেন। সরকারের কোন অর্থই তিনি লুটপাট করেনি। জুন ক্লোজিংয়ের সময় অফিস সহকারী আব্দুল বাতেন ৩০ জুন রাতে তার স্ত্রীর ব্যক্তিগত হিসাবে ২০ লাখ টাকা জমা করেছিলেন। ২ জুলাই ওই টাকা নগদায়ন করে উত্তোলন করা হয় এবং পাওনাদারদের তা পরিশোধ করা হয়েছে। এছাড়া তিনি বলেন চলতি বছর মার্চ মাসে সে যোগদান করেছেন তার আগে যেসব কাজ হয়েছে সবগুলোর কাগজপত্র দেখা সম্ভব হয়নি।
অ্যাম্বুলেন্স মেরামত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডাইভার বিল উপস্থাপন করেছে সেই বিল অনুমোদন করা হয়েছিল।
সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আকন্দ জানান, দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারের তাকে কৈয়ফিয়ত তলব করা হয়েছে। সরকারি অর্থ লুটপাটের প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।