ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব রেলপথ

ঝুঁকিপূর্ণ ৯৯ কিলোমিটার

সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
🕐 ৮:৩৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০১৯

ব্রিটিশ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রেল বিভাগের আওতায় ১৯১৭ সালে চালু হয় বাহাদুরাবাদঘাট হয়ে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব-চট্টগ্রাম রেলপথ। সেই সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যাত্রী পরিবহনসহ পণ্য পরিবহনে দেশের উত্তরাঞ্চলের একমাত্র যোগাযোগ ছিল এ রেলপথ। তবে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব রেলপথের ৯৯ কিলোমিটার দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রেলপথে যাতায়াত করছেন। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে জেনেও তারা ছুটছে জীবন জীবিকার তাগিদে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।

রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা জানায়, নন ইন্টারলক পদ্ধতিতে এ রেলপথে ট্রেন চলাচল করায় মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। ব্রিটিশ আমলের তৈরি নন ইন্টারলক ও কম্পিউটার বেইজের বাইরে রেলপথে ট্রেন চলাচল সব-সময় ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে সিগনাল দিতে সমস্যা ও বিলম্ব হচ্ছে।

অন্যদিকে ভৈরব জংশন থেকে শুরু করে ময়মনসিংহের গৌরীপুর স্টেশন পর্যন্ত ৯৯ কিলোমিটার রেলপথে এখনও কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এ রেলপথে ১১টি স্টেশন রয়েছে। বিশেষ করে রেল লাইনে কংক্রিটের স্লিপারের স্থলে কাঠের স্লিপার। রেল লাইনে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পাথর নেই।

ট্রেনের চালকরা জানান, রেললাইন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তারা ট্রেনের গতি বাড়াতে পারেন না। কারণ তারা আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। বাধ্য হয়ে তারা ভৈরবের পর এবং ময়মনসিংহের পর ট্রেনের গতি কমিয়ে দেন। কারণ রেললাইনে প্রয়োজনীয় পাথর, কাঠের তৈরি ও স্টিলের স্লিপারগুলোর মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ব্রিটিশ আমলের গুরুত্বপূর্ণ এ রেলপথটি অবহেলিত। কারণ গত দেড় দশকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় রেলপথের আধুনিক উন্নয়ন হয়েছে। এ রেলপথ এনালগ পদ্ধতির মধ্যেই পড়ে আছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজের সভাপতি কবি অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী, উদিচি জেলা সংসদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান খান, হিমু পাঠক আড্ডার সম্বয়ক সাংবাদিক আলপনা বেগমসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।

 
Electronic Paper