গাজীপুরে অবৈধ ৩০০ করাতকল
হুমকিতে বনাঞ্চল
তানজেরুল ইসলাম, গাজীপুর
🕐 ৯:০৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
গাজীপুরে সরকারি বিধি বিধান উপেক্ষা করে একের পর এক অনুমোদনবিহীন করাতকল (স’মিল) গড়ে উঠছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জেলার বনাঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ। গাজীপুরে বেশকিছু এলাকায় ক্ষোদ বনভূমিতে করাতকল গড়ে উঠেছে। এসব করাতকলে বনভূমি থেকে চুরি হওয়া বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষের খন্ড চেরাই করা হচ্ছে প্রকাশ্যে দিবালোকে। অথচ দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্তাদের।
যদিও মাঝে মধ্যে অবৈধ কিছু করাতকলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে অর্থদণ্ড, মালামাল জব্দ করা হচ্ছে। সম্প্রতি কয়েকটি করাতকলের স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবুও থামছে না অবৈধ করাতকলে বন বিধ্বংসী কর্মকান্ড।
গাজীপুরে বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানায়, জেলার কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া ও গাজীপুর সদর উপজেলায় অনুমোদনহীন করাতকল মালিকরা ‘করাতকল মালিক সমিতি’ গড়ে তুলেছেন। এতে মদদ দিচ্ছে বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও অবৈধ করাতকল বন্ধে নিরব ভূমিকায়। অথচ গাজীপুরে করাতকল লাইসেন্স প্রদানে কমিটি রয়েছে।
করাতকল (লাইসেন্স) বিধিমালা-২০১২ মতে, সংরক্ষিত, রক্ষিত, অর্পিত বা বনভূমির সীমানা থেকে ন্যূনতম ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। বিধিমালা লঙ্ঘন করলে দুই মাস বা অনধিক তিন বছর কারাদণ্ড এবং এর অতিরিক্ত দুই হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে।
লাইসেন্সের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি প্রদান ও জমা রশিদ সংযুক্ত করে আবেদন ফরম এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আবেদনপত্র দাখিলের নিয়ম রয়েছে। আবেদনের ৩০ দিনের মধ্য তথ্য যাচাইপূর্বক ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ফরেস্টার বা তদূর্ধ্ব কোন কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে।
ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউছুপ জানান, ‘গাজীপুরে অবৈধ করাতকল উচ্ছেদে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে।’
ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা ফরেষ্টার খন্দকার আরিফুল ইসলাম জানান, গত বুধবার বিকেবাড়ী বিটের পূর্ব ডগরী এলাকায় পাঁচটি অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে চারটি ডিজেল চালিত ইঞ্জিনসহ করাতকলের বিভিন্ন সরঞ্জাম।