ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ক্রমেই শ্রীহীন হচ্ছে কিশোরগঞ্জ

সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
🕐 ৫:১৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৪, ২০১৯

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের ব্যস্ততম সড়ক ধরে নেই ফুটপাত, যাও আছে তা দখলদারদের দখলে। যানজটে মানুষ অতিষ্ঠ। শহরের বুকে অবৈধ পার্কিং, ড্রেনগুলো হয় ঢাকনা বিহীন, না হয় খোলা। কোথাও ভাঙা। নেই শহরের সৌন্দযবৃদ্ধির উদ্যোগ, অনেক জায়গায় নেই ডাস্টবিন! এছাড়াও শহরটিতে দেখা যায় নানা সনস্যা। পৌরবাসী সময়মত পৌরকর প্রদান করেও নাগরিক সেবা থেকে হচ্ছে বঞ্চিত।

শহরের ব্যস্ততম একরামপুর সড়ক থেকে গাইটাল বাসস্ট্যান্ড সড়ক অংশের প্রায় ৫ কিমি রাস্তা। চলাচল বহুল এ রাস্তায় প্রতিদিন ভোর থেকেই কর্মজীবি মানুষেরা বের হয়ে পড়েন জীবিকার তাগিদে। শিক্ষার্থীরা দল বেধে চলেন বিদ্যালয়, কলেজের উদ্দেশ্যে। কিন্তু নেই ফুটপাথ। ফলে মানুষ হাটছে সড়কের মাঝ দিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে। আর এতেই ঘটছে প্রতিনিয়ত ছোট-খাটো দুর্ঘটনা।

স্থানীয় বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, আমাদের সম্মিলিতভাবে অভ্যাস বদলানোর বিকল্প নেই। ব্যক্তিগত ফায়দার দিকে না তাকিয়ে নাগরিক সমস্যাসহ সব দাবী-দাওয়ার কথা তুলে ধরতে হবে এবং পৌর কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নাগরিক সমস্যার সমাধান করতে। নগরবিদের মাধ্যমে পরিকল্পনা প্রনয়ন করে নতুনভাবে শহরকে সাজানো দরকার বলে মন্তব্য করেন আকরাম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোরগঞ্জের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জানান, দেশের ১ম শ্রেণিভুক্ত এই পৌরসভার বর্তমান অবস্থা ও নাগরিক সেবা অত্যন্ত নাজুক। রাস্তার পাশে মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে হকারদের জন্য সাধারণ মানুষ বিপদজ্জনকভাবে মূল সড়কে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে যানজট এখন এ শহরের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়, ট্রাফিক পুলিশদের এ যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ গলধঘর্ম হতে হয়। অবৈধ অটোরিকশা ও টমটমের যাতায়াতের কারণে একটা জঞ্জালের শহরে রূপ নিয়েছে কিশোরগঞ্জ। চারিদিকে অবৈধ যানবাহন, অবৈধ স্ট্যান্ড, অবৈধ ড্রেনের দুর্গন্ধ। এছাড়াও নাগরিক সেবার খুব নাজুক হাল।

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া জানান, আইন, নিয়ম, রীতিনীতি আমাদের সবাইকে মানতে হবে। অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। ব্যাপক হারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এ লক্ষ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে।

 
Electronic Paper