ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শিক্ষক সংকটে ব্যাহত পাঠদান

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
🕐 ১২:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০১৯

জামালপুরের বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজে শিক্ষক সংকটের কারণে বিপাকে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজী, আইসিটি ও গণিত বিভাগের প্রভাষক না থাকায় এসব শিক্ষার্র্থীরা দারুনভাবে বিপাকে পড়েছেন। একই সঙ্গে নানা সমস্যার কারণে বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে কলেজটিতে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

কলেজটিতে বর্তমানে দুই বছর ধরে ইংরেজী, তিন বছর ধরে বিজ্ঞান বিভাগের গণিত, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের প্রভাষক পদটি শূন্য রয়েছে। 

আইসিটি পদের বিপরীতে এখন পর্যন্ত কোন প্রভাষককে পদায়ন দেওয়া হয়নি। এছাড়াও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের পদটিও দীর্ঘদিন যাবত শূন্য রয়েছে। এই কলেজের প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজও উপাধ্যক্ষ ও সহযোগী অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি হয়নি। চালু হয় নি অনার্স কোর্সও। এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি অনার্স কোর্স চালু করা। কিন্তু কলেজ প্রতিষ্ঠার ৪৭ বছর পরেও এই কলেজে অনার্স কোর্স চালু হয় নি। শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, স্থানীয় সুধীজনসহ এলাকার মানুষ অবিলম্বে অনার্স কোর্স চালুর দাবি জানিয়েছেন। অনার্স কোর্স চালু না হওয়ায় স্থানীয় ছেলেমেয়ের দূরদূরান্তে পড়ালেখা করতে হচ্ছে।

অপরদিকে এনাম কমিশনের রির্পোট অনুযায়ী সরকারি কলেজ গুলোতে প্রতিটি বিভাগের অনুকূলে একজন সহকারী অধ্যাপক পদ থাকার নিয়ম থাকলেও এই কলেজে শুধুমাত্র ইসলামের ইতিহাসের একজন সহকারী অধ্যাপকের পদ রয়েছে। সব চেয়ে বড় সমস্যা হলো এই কলেজে কোনো প্রভাষক যোগ দিলে কারণে-অকারণে আগেই বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজে ইংরেজী, গণিত ও আইসিটি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ করার দাবি জানিয়েছেন। প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা শিক্ষকদের মানসম্মত ডরমেটরী ও খাবারের ভাল কক্ষ না থাকায় শিক্ষকদের মধ্যেও চাপা ক্ষোভ রয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলাম জানান, কলেজের শিক্ষকের শুন্য পদ পূরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

 
Electronic Paper