ফরিদপুরে বিভক্ত যুবলীগ
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
🕐 ১২:২১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিচুর রহমানের কমিটি বাণিজ্যে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার সুসংগঠিত আওয়ামী যুবলীগ। দুই উপজেলায় শক্তিশালী দুটি কমিটি বিদ্যমান থাকতে মোটা অঙ্কের অর্থ বাণিজ্য করে নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন ওই কেন্দ্রীয় নেতা। ফলে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা।
২০১৭ সালের ১৩ মার্চ চতুল ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটুকে আহবায়ক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট বোয়ালমারী উপজেলা যুবলীগের একটি আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় যুবলীগ।
গত শনিবার ওই কমিটির আহবায়ক শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু ও যুগ্ম আহবায়ক দাউদুজ্জামান জানান, সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলন করে পরীক্ষিত মুজিব সৈনিকদের দিয়ে প্রতিটি ইউনিটে কমিটি গঠন করে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার পরেও সম্মেলনের তারিখ না দিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর গঠনতন্ত্র ও জেলা কমিটিকে পাশ কাটিয়ে ফরিদপুর-১ আসনের এমপি মো. মুনজুর হোসেন বুলবুল যুবলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিচুর রহমানকে ম্যানেজ করে ছাত্রদল থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী রফিকুল ইসলামকে আহবায়ক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করান।
আলফাডাঙ্গা পৌর মেয়র ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফার রহমান সাইফুর জানান, বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য মুনজুর হোসেন নিজের খেয়াল খুশিমত জামায়াত বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রাধান্য দিয়ে উপজেলার শক্তিশালী যুবলীগ কমিটিকে বাদ দিয়ে নতুন একটি কমিটির অনুমোদন এনেছেন।