ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কিশোরগঞ্জে নানা উপায়ে বিদ্যুৎ চুরি

সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
🕐 ৩:৪০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৩, ২০১৯

হুকিং, মিটারে কারচুপি, সংযোগ বিছিন্ন করে দেওয়াসহ নানা উপায়ে বিদ্যুৎ চুরি চলছে কিশোরগঞ্জে। দেদার বিদ্যুৎ চুরির ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত। এছাড়াও ইজিবাইকে অবৈধভাবে চার্জের ফলে বিদ্যুতের অপচয় বাড়ছে। এসব বন্ধে সরকারিভাবে নিয়মনীতি করা হলেও এবং অভিযান পরিচালনা করার ঘোষণা এলেও কিশোরগঞ্জে তা হচ্ছে না।

নিয়মিত অভিযান চালানোর নিয়ম থাকলেও অজ্ঞাত কারণে কিশোরগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড নিরব ভূমিকা পালন করছে এবং অবৈধভাবে চলাচলকারী ইজিবাইক বন্ধ করতে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না।

বিভিন্ন সরকারি দফতরেও অর্ধ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। তবে সেই টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা রয়েছে। কিন্তু বেসরকারি ক্ষেত্রে যে বকেয়া রয়েছে সেটা পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। আবার বিদ্যুৎ বিল কেন বাংলায় হবে না এ নিয়ে মামলাও চলমান।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কেউ কেউ বিদ্যুতের তার মিটার পর্যন্ত নিয়ে না গিয়ে সরকারি অনুমতিবিহীন ব্যাটারি চালিত রিকশা ও ইজিবাইকের সঙ্গে সরাসরি জুড়ছে। আবার কেউ বিদ্যুৎ সরবরাহের মূল তার থেকে বিদ্যুৎ চুরি করছে। বাড়ির বিদ্যুৎ মিটারেও হচ্ছে কারচুপি। অনেক বাড়িতে গরমে ফ্রিজ, পাখা, এসি চললেও বিদ্যুৎ বিলের অঙ্কে খুব একটা হেরফের হচ্ছে না। ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের সংখ্যাও কম হয় না। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জের সাধারণ মানুষদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় হাজারের উপরে ব্যাটারি চালিত রিকশা ও দেড় হাজার ইজিবাইক নিয়মিত শহরে চলাচল করছে। এগুলোর ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে ১০০ থেকে ১৫০টি গ্যারেজ স্থাপন করা হয়েছে গোপনে। প্রতিবার ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য গ্যারেজ মালিক রিকশা প্রতি ৯০ টাকা আর ইজিবাইক প্রতি ১৩০ টাকা করে নিচ্ছেন। এক্ষেত্রেও বিদ্যুৎ সংযোগ অবৈধভাবে নিয়ে গ্যারেজ পরিচালনা করছেন গ্যারেজ মালিকরা।

কিশোরগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, বিদ্যুৎ চুরি রোধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। বিদ্যুৎ চুরির তথ্য পেলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিদ্যুৎ চুরি রুখতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 
Electronic Paper