ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দুর্নীতির আখড়া শাল পিয়ালের বন

তানজেরুল ইসলাম, গাজীপুর
🕐 ৭:০০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯

লাগামহীন দুর্নীতিতে অতীত জৌলস হারিয়ে মলিন হওয়ার পথে শাল পিয়ালের ভাওয়াল বন। উদ্যানটি ঢাকা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের অধীন। অথচ গত তিন দশকেও উদ্যানটি বন্যপ্রাণীর জন্য বসবাসযোগ্য হয়নি। ৫০২২ হেক্টরের উদ্যানটিতে প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছরেও যুগোপযোগী এবং টেকসই পরিকল্পনার নেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান রেঞ্জ কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন মো. রেজাউল করিম। তবে তিনি প্রায়ই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। যদিও মাঝে মধ্যে জাতীয় উদ্যানের ভিআইপি বিশ্রামাগার ‘চম্পায়’ বিধি বহির্ভূতভাবে রাত্রিযাপন করেন তিনি। এ ছাড়া জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের পার্ক বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন বন প্রহরী মাহমুদার রহমান। অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

কুইচামারা এলাকার অধিবাসীরা জানান, ঝড়ে পাড়া গাছ অপসারণের নামে নির্বিচারে আকাশমণি গাছ কাটা হয়েছে। কথিত নিলামের নামে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে।

হালডোবা এলাকার আব্দুল মতিন বলেন, তার জমি সংলগ্ন বনভূমি থাকায় পার্ক বিট কর্মকর্তা মাহমুদার রহমানের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ার ওই জমি পরিমাপ করেন। জোত সীমানা চিহ্নিত করতে আরসিসি পিলার স্থাপনের কথা বলে মাহমুদার তার কাছে টাকা নেন। পরে ওই জমিতে বাড়ি নির্মাণের অনুমতি পেতে তিনি মাহমুদারকে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা দেন। অথচ বাড়ি নির্মাণের কিছুদিন পর তা উচ্ছেদ করে বন বিভাগের লোকজন। তবে পার্ক বিট কর্মকর্তা মাহমুদার রহমান জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো মিথ্যা।

এদিকে, জাতীয় উদ্যানে ১৩টি হরিণ নিয়ে একটি চিড়িয়াখানাও রয়েছে। হরিণগুলোর চিকিৎসায় বরাদ্দ থাকলেও হিকিৎসা মিলছে না। রেঞ্জ কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, হরিণগুলোর খাবার দেওয়ার দায়িত্ব পার্ক ইজারাদারের। তবে চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ আছে।

 
Electronic Paper