ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কিশোরগঞ্জে টিআর-কাবিখা প্রকল্পে হরিলুট

সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
🕐 ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০১৯

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠঅমো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) এবং কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে কাজ না করেই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

২০১৮-১৯ অর্থ বছরে কাবিখা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদ মাঠের পূর্ব পাশে গর্ত ভরাট, মসজিদের মাঠে মাটি ভরাট, ভরাটিচরপাড়া মসজিদের সামনে থেকে ভরাটি পর্ধানির বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুনঃনির্মাণ, পাটধা নয়াপাড়া পাকা রাস্তা থেকে সেহড়া পাকা রাস্তায় আংশিক মাটি ভরাট, মইশাখালী আব্দুল আলী জামে মসজিদের মাঠে মাটি ভরাটের কোনো কাজ না করেই বরাদ্দকৃত চাল ও অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ করে আশপাশের লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

অন্যদিকে, টিআর প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ভট্টাচার্য্য পাড়া বাবুর বাড়ির সামনে বিলুপ্ত সিএসের রাস্তা মেরামত আংশিক হলেও অন্যান্য প্রকল্পগুলোতে একেবারেই কাজ হয়নি বলে জানিয়েছে প্রকল্প এলাকার লোকজন।

বরাদ্দকৃত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা জানান, বরাদ্দকৃত চাল এবং নগদ টাকার ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। টিআর প্রকল্পে ইউনিয়ন জুড়ে নূর মোহাম্মদ জামে মসজিদ নামে কোনো মসজিদের অস্তিত্ব খুঁজে না পেলেও মসজিদটির উন্নয়ন ব্যয় বাবদ উত্তোলন করা হয়েছে ৪৩ হাজার ৩০০ টাকা। সোনু মিয়ার বাড়ি থেকে মফিজ উদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ও তেরহাসিয়া জাকিরের বাড়ির সামনের রাস্তা মেরামত বাবদ অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে ৮৬ হাজার ৬০০ টাকা। অথচ স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত মাটির এ রাস্তাটিতে কোনো ধরনের কাজ হয়নি।

বৌলাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন বলেন, টিআর ও কাবিখার কাজগুলো এক বছর আগে সম্পন্ন করা হয়েছে। যার জন্য মাটি ভরাটকৃত এলাকায় ঘাস ভরে গেছে। আমরা কাজ করেছি।

এ ব্যাপারে জানতে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউছার আহমেদের সঙ্গে যোগাযাগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

 
Electronic Paper