টুঙ্গিপাড়ায় মানুষের ঢল
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০১৯
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিতে সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে স্বাধীনতার মহান স্থপতির স্মৃতির প্রতি সম্মান জানান।
আজ (১৫ আগস্ট) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির জনকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতা ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্যের হাতে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনকালে সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। তিন বাহিনী প্রধান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং ১৫ আগস্টের অন্য শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রী সেখানে ফাতেহা পাঠ এবং বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। মোনাজাতে দেশ, জাতি এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতি কামনা করা হয়। আরও উপস্থিত ছিলেন-জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ এবং রাশিদুল আলম, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং মুহম্মদ ফারুক খান, মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম প্রমুখ। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ও নেতাকর্মীরা জাতির পিতার মাজার চত্বরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।