ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সিংগাইর ভূমি জরিপে ঘুষ বাণিজ্য

সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ৫:১১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৩, ২০১৯

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ডিজিটাল ভূমি জরিপ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সিংগাইর উপজেলার রিফায়েতপুর, দক্ষিণ জামশা, বায়রা ও বিনোদপুর ছোট খণ্ড মৌজা ও চর সিংগাইর মৌজায় আরএস-২ নামে জরিপ কাজ চলছে। চর সিংগাইর মৌজার জরিপ কাজ তদারকি করছেন দিয়ারা অপারেশন নরসিংদী উপ-আঞ্চলিক ক্যাম্পের রাজস্ব অফিসার মুহাম্মদ আবু তাহের ও বাকি চারটি মৌজা তদারকি করছেন সিংগাইর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসার মো. আব্দুল কুদ্দুস। কিন্তু জমির সব কাগজপত্র ঠিক থাকলেও খতিয়ান প্রতি গুনতে হয় দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত।

সদর ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের কৃষক আওলাদ হোসেন জানান, ১৪ শতাংশ জমির জরিপ কাজের জন্য চার হাজার টাকা দাবি করে সার্ভেয়ার হারুন-অর-রশিদ। পরে বাধ্য হয়ে দুই হাজার টাকা দিলে জমি রেকর্ডভুক্ত করে আমাকে মাঠ পর্চা দেন জরিপকর্মীরা।

এছাড়াও আজিমপুর গ্রামের নুরুল হকের কাছ থেকে পাঁচ হাজার, আওলাদ হোসেনের কাছ থেকে দুই হাজার, ফজল মিয়ার কাছ থেকে তিন হাজার, হযরত আলীর কাছ থেকে তিন হাজার, আজিমপুর গ্রামের কাজী আলী হোসেন ও তার ভাতিজা আব্দুস সালামের কাছ থেকে আট হাজার, গোলাড়া গ্রামের রহুল আমীনের কাছ থেকে দুই হাজার ৫০০, শাহীনুর রহমানের কাছ থেকে এক হাজার, মোক্তার খানের কাছ থেকে এক হাজার টাকা নেন জরিপ কর্মীরা।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সার্ভেয়ার শফিকুর রহমান ও জানে আলম বলেন, জমি রেকর্ডভুক্ত করতে কোনো টাকা পয়সা নেওয়া হয় না। কাজ শেষে কেউ যদি খুশি হয়ে কিছু দেন, তাহলে সেটা নেওয়া হয়। টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না এমন অভিযোগ সত্য নয়।

দিয়ারা অপারেশন নরসিংদী উপ-আঞ্চলিক (ক্যাম্প) কার্যালয়ের রাজস্ব অফিসার মুহাম্মদ আবু তাহের বলেন, জরিপকর্মীদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার ঢালাও অভিযোগ সঠিক নয়। স্থানীয় দালাল চক্র আমাদের কথা বলে টাকা নিয়ে থাকতে পারে।

 
Electronic Paper