দুই যুগ বন্ধ টাঙ্গাইল কটন মিলস
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
🕐 ৮:৩৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০১৯
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াই শিল্পাঞ্চলে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ টেক্সটাইলস মিল করপোরেশনের রাষ্ট্রায়ত্ত একমাত্র সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইল কটন মিলস বন্ধ রয়েছে প্রায় দুই যুগ ধরে। ফলে মিলের কয়েক শত কোটি টাকার মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও ভবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিশাল এলাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত সুতা উৎপাদনের মিলটি বন্ধ থাকায় মিলে কর্মরত প্রায় ৩-৪ হাজার কর্মচারী বেকার হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
বুধবার মির্জাপুরে গোড়াই শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত টাঙ্গাইল কটন মিলে গিয়ে দেখা গেছে, মিলে নেই শ্রমিক কর্মচারীরা। মিলটির প্রধান গেটটি শুধুই নিস্তব্ধ স্মৃতি বহন করে আছে।
টাঙ্গাইল কটন মিলের প্রধান নির্বাহী রবিউল করিম বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল করপোরেশনের প্রথম সুতা উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ছিল টাঙ্গাইল কটন মিল। ওই সময়ে লোকসানের কারণে মিলটি বন্ধ থাকায় এলাকায় বেকার শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বর্তমান সরকার দেশে বন্ধ মিল চালু করার জন্য মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। টাঙ্গাইল কটন মিলটি (পিপিএম) পদ্ধতিতে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে পুনরায় চালুর উদ্যোগ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
মিলের সাবেক কর্মচারীদের মধ্যে বাবুল সিকদার, আব্দুর রশিদ ও রহমান সুবাদর অভিযোগ করেন, টাঙ্গাইল কটন মিলের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সিবিএ নেতাদের অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম দুর্নীতির কারণে ৮৫-৯০ দশকে মিলটি লোকসানে পরিণত হয়।
কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিবিএ নেতাদের সিন্ডিকেটের কারণে দেনার ভারে জর্জরিত হয়ে পড়ে মিলটি। দেনার ভারে প্রথমে মিলের দুই নং ইউনিট ১৯৯৮ সালে বন্ধ হয়ে যায়। বেকার হয়ে পড়ে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কর্মচারী। এক নং ইউনিট চালু থাকলেও লোকসানের কারণে ২০০৮ সালে এ ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়। মিলের দুটি ইউনিট পুরোপুরি বন্ধ থাকায় ৩-৪ হাজার শ্রমিক কর্মচারী কর্মহীন হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।