ভবানীপুরে বাগান সৃজন
তানজেরুল ইসলাম, গাজীপুর
🕐 ৮:৪১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০১৯
ঢাকা বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের অধীন গাজীপুরের ভাওয়াল রেঞ্জ। রেঞ্জটির অধীন ভবানীপুর বিটে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বনভূমিতে ৩৪ একর বাগান সৃজন করা হয়েছে। এ ছাড়া দশ একর বনভূমিতে এএনআর বাগান সৃজিত হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উদ্ধার করা হয়েছে ৫১ একর বনভূমি। ঢাকা বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর ভবানীপুর বিটে এক বছরের হিসাবে এ যাবতকালে এটিই সর্বোচ্চ অর্জন বলে মনে করছেন বিভাগটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভাবানীপুর বিটে বনভূমির পরিমাণ ২৫৮৮.৪৮ একর। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভবানীপুর বিটের বারইপাড়া মৌজার ৩,১৭,৩৯৫ সিএস দাগে ১৬.২৫ একর বনভূমিতে বাগান সৃজন করা হয়েছে। এ ছাড়া তৃতীয় আবর্তে উডলট বাগান সৃজিত হয়েছে ১৭.৫০ একর বনভূমিতে।
ভবানীপুর বিট কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তিন নম্বর মাহনা ভবানীপুর মৌজার সিএস ৯২২ দাগে ২.৫৩ একর, ১০৬৭ দাগে ৪ একর, ৯৭৭ দাগে ৫ একরসহ ১০০১,১০০২, ১২৫০,১২৪০ এবং ৮২৬ দাগে মোট ১৩.৪৮ একর বনভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে, চার নম্বর বারইপাড়া মৌজার তিন নম্বর সিএস দাগে ৪ একর, ১৭ দাগে ১ একর, ৩৯৫ দাগে ১১.২৫ একর, ৫৪৮ দাগে ১ একর, ৫৮৭ দাগে ১০ একরসহ মোট ৩৭.২৫একর বনভূমি উদ্ধার হয়েছে।
ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা ফরেস্টার খন্দকার আরিফুল ইসলাম জানান, বনভূমি উদ্ধারের পাশাপাশি বারইপাড়া মৌজার ১৮,২৭,২৯ ও ৩১ নং দাগে দশ একর বনভূমিতে এএনআর বাগান সৃজন করা হয়েছে। সৃজিত বাগানে আলমকী, বহেরা, বরই, জাম, কাঁঠাল, হরিতকি, ডুমুরসহ বিভিন্ন ধরনের ফলদ, বনজ এবং ঔষধি চারাগাছ রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভবানীপুর বিটের বিভিন্ন এলাকায় ১৩শ ফুট কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। বনভূমির সীমানা চিহ্নিত করতে শতাধিক ‘এফডি’ লেখা আরসিসি পিলার স্থাপন করা হয়েছে।
দেশীয় পশু-পাখির জন্য ভবানীপুর বিটের বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক বট চারা রোপিত হয়েছে। এ ছাড়া ভবানীপুর বিটে বন দখলের ঘটনায় এক বছরে ৩৭টি পিওআর মামলা দায়ের করার পাশাপাশি উচ্ছেদ অভিযান চলামান আছে।